অয়ন ঘোষাল: গ্রীষ্মের তীব্রদাহ আর নেই। বরং গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি হয়েছে কলকাতা-সহ রাজ্যের প্রায় সব জেলাতেই। আপাতত দিনের তাপমাত্রায় তেমন পরিবর্তন হবে না। আগামী ৪ মে পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া দফতর। ২ মে রাত থেকে ৩ মে বিকেল পর্যন্ত বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে দক্ষিণবঙ্গে। আজ, সোমবার ও আগামীকাল বৃষ্টি হবে দার্জিলিং, কালিম্পং ও জলপাইগুড়িতে।
উত্তরবঙ্গ
সোমবার ভারী বৃষ্টির সতর্কতা থাকছে বেশ কয়েকটি জেলাতে। আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, কালিম্পং এবং জলপাইগুড়িতে ভারী বৃষ্টি অর্থাৎ ৭০ থেকে ১১০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে। বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সঙ্গে শিলাবৃষ্টি সতর্কতাও রয়েছে। ৫০ কিমি পর্যন্ত ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে।
উত্তরবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতেও বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি সঙ্গে ৩০ থেকে ৫০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা ঝড়ো হাওয়া বইবে।
মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টি আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে। উত্তরবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টি ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে দমকা ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে।
আগামী শুক্রবার পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের পার্বত্য এলাকায় বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি চলবে। বিক্ষিপ্তভাবে দু এক জায়গায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকবে।
দক্ষিণবঙ্গ
আগামী ২৪ ঘন্টায় শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদীয়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানে শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি। দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতেও বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা মাঝারি বৃষ্টির সঙ্গে ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা ঝড়ো হাওয়া বইবে।
মঙ্গলবার দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা মাঝারি বৃষ্টি সঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা ঝোড়ো হাওয়া বইবে। বুধবার থেকে শুক্রবার দক্ষিণবঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায় দমকা ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে।
কলকাতা
মেঘলা আকাশ দেখা যাবে। বিকেল বা সন্ধ্যের দিকে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
সিস্টেম
উত্তরপ্রদেশ ও ছত্তিশগড়ে রয়েছে জোড়া ঘূর্ণাবর্ত। এর টানেই সাগর থেকে জলীয়বাষ্প ঢুকছে।
একটি অক্ষরেখা বিদর্ভ থেকে তেলেঙ্গানা পর্যন্ত রয়েছে। সোমবার উত্তর-পশ্চিম ভারতে ঢুকবে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা।