উত্তর দিনাজপুরে যাত্রার দ্বিতীয়ে দিনে এদিন হেমতাবাদ, রায়গঞ্জে জনসভা শেষে ইটাহারে পৌঁছন তৃণমূলের ‘নম্বর টু’। অভিষেককে স্বাগত জানাতে এদিন প্রথম থেকে রাস্তায় তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। অভিষেক ইটাহার পৌঁছতেই তাঁকে দেখে তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের ঊচ্ছ্বাস বাঁধ ভাঙে।
কর্মী সমর্থক ও সাধারণ মানুষের দিকে হাত নাড়তে নাড়তে এগোতে থাকেন ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ। দলের শীর্ষনেতাকে একবার ছুঁয়ে দেখার জন্য পুলিশি ব্যারিকেড টপকে এগিয়ে আসার চেষ্টা করেন তৃণমূলকর্মীরা। হাসিমুখে কর্মীদের সঙ্গে হাত মেলান অভিষেক। কর্মী সমর্থকদের মধ্যে ঊচ্ছ্বাস এতটাই বেশি ছিল, যে অভিষেকের নিরাপত্তার দায়িত্ব থাকা পুলিশকর্মীদের কার্যত হিমশিম খেতে হয়।
ভিড় দেখে খানিক আবেগতাড়িত হয়েই হয়তো ফিল্মি কায়দায় সটান কালো এসইউভির ছাদে উঠে পড়েন তৃণমূল সাংসদ। গাড়ির ছাদে উঠেই হাত কর্মীদের উদ্দেশে হাসি মুখে হাত নাড়তে থাকেন তৃণমূল নেতা। প্রিয় নেতাকে সামনে পেয়ে চিৎকার করে, স্লোগান তুলে তাঁকে স্বাগত জানান ঘাসফুলের কর্মীরা।
ইটাহারের উল্কা ক্লাবের সামনের কর্মীদের উদ্দেশে বিশেষ বাসের ছাদে দাঁড়িয়ে বক্তব্যও রাখেন অভিষেক। তিনি বলেন, ‘ইটাহার যেভাবে আমাকে বরণ করল তাতে আমি সারাজীবন কৃতজ্ঞ থাকব। আমি অনেক রাজনৈতিক সভায় গিয়েছি। নির্বাচনের প্রচারে বিভিন্ন জায়গায় সভা-সমিতি করেছি। কিন্তু এই স্বতস্ফূর্ততা আমি কোথাাও দেখিনি। মানুষের এই ভালোবাসার কারণে আমি চির ঋণী হয়ে থাকব। মানুষ তৃণমূলে নব জোয়ারকে আজ জনজোয়ারে পরিণত করেছে।’
অভিষেক আরও বলেন, “ইটাহারে বিধানসভা নির্বাচনে আপনারা আমাদের জিতিয়েছেন। এই কেন্দ্রের উন্নয়নের দায়িত্ব আমি নিজের কাঁধে তুলে নিলাম। ৬০ দিনের জন্য ঘর, বাড়ি, সংসার ছেড়ে বেড়িয়েছি। একদিনের জন্য কলকাতা ফিরব না। মানুষকে নিজের প্রার্থী বাছার জন্য আমরা পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছি। অধিকার আদায় করতে তৃণমূলকে ভোট দিতে হবে।”
প্রত্যেক বছর অভিষেকের জন্মদিনে তাঁর কালীঘাটের অভিফের সামনে কেক-মিষ্টি নিয়ে ভিড় করেন তৃণমূল নেতাকর্মীরা। তাঁদের সঙ্গে প্রত্যেকবারই কিছুটা সময় কাটান তৃণমূল সাংসদ। শেষবার কালীঘাটে জনজোয়ারে ভেসে লাফিয়ে গাড়ির বনেটে উঠে পড়তে দেখা গিয়েছিল অভিষেককে। বহরে ইটাহারের জনতার ভিড় ছিল তার কয়েকগুন। এদিন ফের একবার জনস্রোতে ভাসতে দেখা গেল অভিষেককে।