তৃণমূলের কোনও নেতার হয়ে কেস লড়ে বাংলায় কংগ্রেসের ভাবমূর্তি ধ্বংস না করার কথা জানানো হয়েছে সেই চিঠিতে। এই বিষয়ে নীলাভ জানান, “আমি রাজ্য যুব কংগ্রেসের একজন প্রতিনিধি। পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে ব্যাপকভাবে চাকরি বিক্রি হয়েছে। পুরসভার ঝাড়ুদার থেকে SSC, টেট, স্কুল শিক্ষক, গ্রুপ ডি ও সি সমস্ত জায়গায় চাকরি বিক্রি হয়েছে।
সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে অভিষেক মনু সিংভি যখন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে, তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে মামলা লড়েন, অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে গিয়ে মামলা লড়েন, তখন কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মানুষের কাছে বহু প্রশ্নের সম্মুখীন হতে কংগ্রেস নেতৃত্বকে”।
তিনি আরও বলেন, “অভিষেক মনু সিংভি ভারতবর্ষের একজন প্রতিষ্ঠিত আইনজীবী। তিনি আইনজীবী হিসাবে কোন মামলা লড়বেন না লড়বেন সেটা তাঁর সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত বিষয়। কিন্তু আইনজীবীর পাশাপাশি একই সঙ্গে তিনি জাতীয় কংগ্রেসের একজন বরিষ্ঠ নেতা। তাই তার কোনও কাজ কংগ্রেস দলের গায়ে আঘাত লাগে, এমন উচিৎ নয়।
তার এই ধরনের কাজের ফলে কংগ্রেস দলের ক্ষতি হচ্ছে। তাই বাংলা প্রদেশ কংগ্রেসের একজন নিপীড়িত কর্মী হিসাবে আমি এই দাবি রাখছি”। এরপরেই নীলাভ বলেন, “কারণ এখানে তৃণমূলের হাতে প্রতিদিন মার খান আমাদের কর্মীরা।
আর আমাদের টিকিটে রাজ্যসভার সাংসদ হয়ে অভিষেক মনু সিংভি তৃণমূলের হয়ে মামলা লড়েন। অথচ তপন কান্দুর হত্যা হলে তাঁর হয়ে মামলা লড়তে পারেন না। বাংলাতে যেসব কংগ্রেস কর্মী খুন হচ্ছেন, লাঞ্ছিত হচ্ছেন, যাদের ওপর আক্রমণ হচ্ছে, কই তাদের হয়ে তিনি তো মামলা লড়েন না, সেই কারণেই আমার এই চিঠি”।
এরপরেই নীলাভ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “এরপরেও যদি তিনি না শোনেন তাহলে অভিষেক মনু সিংভির সঙ্গে বিধানভবনের সামনে যখন দেখা হবে। তখন আইনি বেআইনি সবরকম ব্যবস্থা হবে”। এই কথা বলে কার্যত সিংভিকে হুঙ্কার দিয়ে রাখলেন নীলাভ বন্দ্যোপাধ্যায়।

 
                     
                     Adhir Ranjan Chowdhury: কংগ্রেসের চরম গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, মৃত মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের বাড়ি থেকে ফেরার পথে হাতাহাতি-রক্তারক্তি
Adhir Ranjan Chowdhury: কংগ্রেসের চরম গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, মৃত মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের বাড়ি থেকে ফেরার পথে হাতাহাতি-রক্তারক্তি