মঞ্চের অন্যতম আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ বলেন, ‘রাজ্য সরকার কর্মচারীদের নায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করে বদলির নামে দমনপীড়ন নীতি অবলম্বন করেছে। ফলে আদালতের দ্বারস্থ হওয়া ছাড়া পথ নেই। আগামী ৬ মে মঞ্চ মহামিছিলের ডাক দিয়েছে। সে দিনই মিছিল থেকে পরবর্তী ধর্মঘটের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হবে।’
ডিএ আদায়ের দাবিতে ধর্মতলার ধর্না মঞ্চ ও কর্মবিরতীতে অংশ নেওয়ায় চারশোর বেশি শিক্ষক-শিক্ষিকাকে বদলি করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ভাস্করের কথায়, ‘সরকারি উৎসশ্রী পোর্টালের হাত ধরে যাঁরা সদ্য বাড়ির কাছে স্কুলে বদলি হয়েছেন, তাঁরাও রেহাই পাননি। প্রত্যন্ত এলাকার স্কুলে বদলি করা হচ্ছে।
ডিটেলমেন্টের নামে কলকাতা থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবা, পাথরপ্রতিমা, সুন্দরবনের মতো প্রত্যন্ত এলাকায় বদলি করে দেওয়া হয়েছে।’ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ় ইউনিয়নের (নবপর্যায়) নেতা শ্রীবাস তিওয়ারি বলেন, ‘খাদ্য দপ্তর থেকে কুড়ি জন আন্দোলনকারীকে বিভিন্ন জেলায় বদলির তালিকা তৈরি হয়েছে। ইতিম্যেই আপার ডিভিশন ক্লার্ক দেবু সিংহক আসানসোলে বদলি নোটিস ধরানো হয়েছে।
খাদ্য দপ্তরের হেড অ্যাসিস্ট্যান্ট সৌমেন্দ্রনারায়ণ বসুকে পুরুলিয়া বদলি করার কথা মৌখিক ভাবে দপ্তর থেকে জানিয়েছে।’ নবান্ন কর্তাদের বক্তব্য, রাজ্য সরকারের যে কোনও স্তরের যে কোনও কর্মচারীকে চাইলেই বদলি করতে পারে। এটা রাজ্য সরকারি কর্মীদের সার্ভিস রুলেই রয়েছে। তার জন্য সুনির্দিষ্ট কারণ দেখানো হয় না।