তাতেও সমস্যা রয়েছে বলে এলাকার বাসিন্দাদের দাবি৷ এক বাসিন্দার অভিযোগ, “এলাকার বেশিরভাগ টিউবওয়েল থেকে জল বের হচ্ছে না৷ বেশ কিছু টিউবওয়েল দীর্ঘদিন ধরে খারাপ বলে টিউবওয়েলের হ্যান্ডেল দড়ি দিয়ে বাঁধা রয়েছে “৷ বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে অবশ্য পুর এলাকার বিভিন্ন জায়গায় জলের গাড়ি পাঠানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুরসভার উপ পুরপ্রধান রথীন মণ্ডল৷
পুর এলাকার বাসিন্দা দীপক সিমানী জানান, “আমাদের এলাকায় কলে জল পাওয়া যাচ্ছে না ৷ কিছুটা দুর থেকে আমরা পানীয় জল আনছি” ৷ আরেক বাসিন্দা দেবদত্ত মণ্ডল জানান, “পানীয় জলের সমস্যার বিষয়টি আমরা পুরসভাকে জানিয়েছি ৷ যাতে দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হয় তার আবেদন জানিয়েছি আমরা”৷
পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান রথীন মণ্ডল আরও জানান, “বিভিন্ন এলাকায় পুরসভা জলের গাড়়ি পাঠালেও তা ব্যবহার করতে চাইছেন না অনেকেই ৷ এই বিষয়ে আমরা পুরসভার পক্ষ থেকে প্রচারও চালাচ্ছি”৷ এই বিষয়ে জয়নগরের বিধায়ক বিশ্বনাথ মণ্ডল জানিয়েছেন, “ফলতা থেকে পানীয় জলের পরিষেবা দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে ৷
২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে সেই কাজ শেষ হবে ৷ তার আগে যেসব এলাকায় পানীয় জলের সমস্যা আছে তার একটি তালিকা তৈরি করে লিখিতভাবে PHE কে দেওয়া হয়েছে”৷ গুরুত্বপুর্ণ এলাকাগুলিতে পানীয় জলের সমস্যার সমাধানে খুব তাড়াতাড়ি টিউবওয়েল বসানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি ৷
যদিও স্থানীয় এক বাসিন্দা পুরসভা তথা বিধায়কের এহেন আশ্বাসে আর সন্তুষ্ট হতে পারছেন না। ওই বাসিন্দা জানান, “প্রত্যেক বছর গরমে এরকম জলের কষ্টে ভুগি আমরা। আর পুরসভা বলে এই সামনের মাসেই সব সমস্যা দূর হয়ে যাবে। কিন্তু আশ্বাস আশ্বাসই রয়ে গিয়েছে। কবে যে পরিশ্রুত পানীয় জল পাব, কেউই জানিনা”।