সেখানে দিলীপ আরও বলেন, “পঞ্চায়েত ভোটে বিরোধী শূন্য করার চেষ্টা গতবারও করেছিলেন ওঁরা। তার ফল ২০১৯ সালে পেয়েছিলেন। এবারও চেষ্টা করে দেখুন বাংলার মানুষ আগে নিশ্চিহ্ন করে দেবে। সেটা সময়ই বলবে”। অভিষেককে আক্রমণ করে দিলীপ ঘোষ বলেন, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় খুব সাধারণ হয়ে গিয়েছেন।
আরও সাধারণ হয়ে যাবেন। কত বড় বড় নেতা ছিলেন তাঁদের তিহাড়ে এখন জল চেয়ে খেতে হচ্ছে। অসাধারণ এখানে আর চলবে না। সাধারণ মানুষের অবস্থা যা চলেছে অসাধারণ কেউ টিকবে না এখানে। কোটি কোটি টাকা খরচ করে সাধারণ মানুষ হওয়া যায় নাকি! একদিনে একটা তাঁবুর ভাড়া ৭৫ লাখ টাকা।
তারপর খাওয়া দাওয়ার কথা আমি বলছি না। এরপরও সাধারণ মানুষ! আমি জানিনা চশমার দাম কত, জুতোর দাম কত, জামার দাম কত, বাড়ির দাম কত, হিসাব করুন। সাধারণ মানুষ তো রাজ্যের ৮ কোটি মানুষ, যারা মোদীজির দেওয়া দু’টাকা কিলো চাল খাচ্ছেন”। রাহুল সিনহা রবিবার বলেন, “পঞ্চায়েত নির্বাচন এখন হবে বলে মনে হচ্ছে না।
কারণ তৃণমূল কংগ্রেস তৃণমূল কংগ্রেসকেই ভয় পাচ্ছে। এত ব্লক হওয়ার পরেও অভিষেক যেখানে ভোট করেছেন ওদের নিজেদের মধ্যে, সেখানেই ব্যালট লুট। হবে না কেন! প্রথম থেকে এরাই তো শিখিয়েছে বিরোধীদের ব্যালট লুট কর, এখন নেশা পেশা দাঁড়িয়ে গিয়েছে। সেই কারণে যেখানে ব্যালট দেখে ইভিএম দেখে সেখানে লুট শুরু করে তৃণমূলের লোকেরা।
যে কারণে কোনটা নিজেদের কোনটা পরের সেই বোধশক্তি হারিয়ে ফেলেছে। এই পার্টির শৃঙ্খলা, বিশ্বাস যোগ্যতা নেই। পার্টির রাশ এখন মমতার হাতেও নেই অভিষেকের হাতেও নেই। এখন তো দেখে বোঝা যাচ্ছে অভিষেকের অসহায় অবস্থা। এত আবেদন নিবেদন হুমকির পরেও একের পর এক ব্যালট লুটের ঘটনা ঘটছে”।