International Labour Day : বিনা নোটিশে ছাঁটাই! বিশ্ব শ্রমিক দিবসে কারখানার সামনে বিক্ষোভ কর্মীদের – workers protested for various demands on international labour day


West Bengal News : আজ পয়লা মে, অর্থাৎ বিশ্ব শ্রমিক দিবস। ভারতসহ বিশ্বের প্রায় ৮০ টি দেশে আজ জাতীয় ছুটির দিন। এই দিনে বন্ধ থাকে যাবতীয় অফিস কাছারি থেকে কল কারখানা। কিন্তু বাঁকুড়া জেলায় আজকের দিনেই এক কারখানা খোলা রাখার অভিযোগ উঠেছে মালিক পক্ষের বিরুদ্ধে। বাঁকুড়ার বড়জোড়া ব্লকের অন্তর্গত ওলতোড়া ও মাধবপুর গ্রাম সংলগ্ন এলাকায় মালি এগ্রিটেক প্রাইভেট লিমিটেড কারখানার সামনে সিটু অনুমোদিত ওয়েস্ট বেঙ্গল মাইগ্রেন্ট ওয়ার্কাস ইউনিয়ন জেলা সম্পাদক সুজিত চক্রবর্তীর নেতৃত্বে আজ পতাকা উত্তোলন করে মে দিবস পালিত করেন শ্রমিকরা।

Durgapur News : পাণ্ডবেশ্বরে ফের ক্ষোভ বাউরি সমাজের, চাকরির দাবিতে কারখানার গেট আটকে চলল বিক্ষোভ
এই দিন কারখানার সামনে থেকে সুজিত চক্রবর্তী নিজের বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, “এই কারখানায় যে শ্রমিকরা ২০১২ সাল থেকে কাজ করে আসছে তাদের কারখানা কর্তৃপক্ষ হঠাৎ করে কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। আর আজকের দিনে শ্রমিক দিবসে সারা বিশ্বের শ্রমিকরা ছুটি পায়।

South 24 Parganas : বানতলা চর্ম নগরীর দূষিত জল ঢুকছে গ্রামে, ক্ষোভে ফুঁসছেন স্থানীয়রা
কিন্তু এই কারখানায় মালিকের এত বড় স্পর্ধা যে আজকের দিনেও কারখানা খুলে রেখেছে এবং শ্রমিকদের কোনও ছুটি নেই”। এছাড়াও তিনি বলেন, “এই কারখানার মালিকপক্ষের নিয়ম না মানার কারণ, রাজ্যের যে তৃণমূল সরকার আছে সেই তৃণমূলের দালাল INTTUC-র নেতারা দীর্ঘদিন এই কারখানাকে তাদের হাতের মুঠোয় রেখেছিল”।

Hooghly News : মজুরি কমিয়ে দেওয়ার অভিযোগে শ্রমিক বিক্ষোভ চুঁচুড়ায়, কী জানাল পুরসভা?
এছাড়াও সুজিত বাবু আরও বিতর্কিত মন্তব্য করেন ও নাম না করে তৃণমূল নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, “এই মালিকের কাছ থেকে মাশোহারা নেন তৃণমূলের নেতারা। এখানে শ্রমিকদের PF, ESI নেই, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী এখানে কোনও বেতন দেওয়া হয় না। এরা কোন নিয়ম মানে না কারণ তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে এই কারখানার মালিকের আঁতাত আছে। শ্রমিক বিরোধী এই কারখানার মালিক”।

Tea Workers Protest : টি ট্যুরিজম নীতি বাতিলের দাবি, জলপাইগুড়িতে বিক্ষোভ চা শ্রমিকদের
এই অভিযোগে কাজ হারানো শ্রমিকরা আজ সকালে ওই কারখানার সামনে কিছুক্ষণ বিক্ষোভ দেখান এবং তাঁরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন যে তাদের দাবি যদি না মেনে নেওয়া হয় তাহলে তাঁরা এর থেকেও বৃহত্তর আন্দোলনে যাবেন। এই বিষয়ে কাজ হারানো এক শ্রমিক বলেন, “২০১২ সাল থেকে আমি এই কারখানাতে কাজ করেছি।

বহুবছর কাজ করার পর হঠাৎ করে কয়েকমাস আগে বিনা নোটিশে আমাকে ছাঁটাই করা হয়। আজ পর্যন্ত কারণ জানতে পারিনি। এখন যে আর বিকল্প পেশা খুঁজে নেব, সেই উপায় নেই। বাধ্য হয়ে আমি আজ এখানে বিক্ষোভ দেখাতে এসেছি যাতে আমি আমার চাকরি ফিরে পাই, বা নিদেনপক্ষে নিজের পাওনা টাকাগুলি পেয়ে যাই”।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *