এই দিন কারখানার সামনে থেকে সুজিত চক্রবর্তী নিজের বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, “এই কারখানায় যে শ্রমিকরা ২০১২ সাল থেকে কাজ করে আসছে তাদের কারখানা কর্তৃপক্ষ হঠাৎ করে কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। আর আজকের দিনে শ্রমিক দিবসে সারা বিশ্বের শ্রমিকরা ছুটি পায়।
কিন্তু এই কারখানায় মালিকের এত বড় স্পর্ধা যে আজকের দিনেও কারখানা খুলে রেখেছে এবং শ্রমিকদের কোনও ছুটি নেই”। এছাড়াও তিনি বলেন, “এই কারখানার মালিকপক্ষের নিয়ম না মানার কারণ, রাজ্যের যে তৃণমূল সরকার আছে সেই তৃণমূলের দালাল INTTUC-র নেতারা দীর্ঘদিন এই কারখানাকে তাদের হাতের মুঠোয় রেখেছিল”।
এছাড়াও সুজিত বাবু আরও বিতর্কিত মন্তব্য করেন ও নাম না করে তৃণমূল নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, “এই মালিকের কাছ থেকে মাশোহারা নেন তৃণমূলের নেতারা। এখানে শ্রমিকদের PF, ESI নেই, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী এখানে কোনও বেতন দেওয়া হয় না। এরা কোন নিয়ম মানে না কারণ তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে এই কারখানার মালিকের আঁতাত আছে। শ্রমিক বিরোধী এই কারখানার মালিক”।
এই অভিযোগে কাজ হারানো শ্রমিকরা আজ সকালে ওই কারখানার সামনে কিছুক্ষণ বিক্ষোভ দেখান এবং তাঁরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন যে তাদের দাবি যদি না মেনে নেওয়া হয় তাহলে তাঁরা এর থেকেও বৃহত্তর আন্দোলনে যাবেন। এই বিষয়ে কাজ হারানো এক শ্রমিক বলেন, “২০১২ সাল থেকে আমি এই কারখানাতে কাজ করেছি।
বহুবছর কাজ করার পর হঠাৎ করে কয়েকমাস আগে বিনা নোটিশে আমাকে ছাঁটাই করা হয়। আজ পর্যন্ত কারণ জানতে পারিনি। এখন যে আর বিকল্প পেশা খুঁজে নেব, সেই উপায় নেই। বাধ্য হয়ে আমি আজ এখানে বিক্ষোভ দেখাতে এসেছি যাতে আমি আমার চাকরি ফিরে পাই, বা নিদেনপক্ষে নিজের পাওনা টাকাগুলি পেয়ে যাই”।