রায়ে আদালত জানিয়েছে, গঠিত সিটের নেতৃত্বে থাকবে আইজি পদমর্যাদার আইপিএস অফিসার প্রণব কুমার। এর পাশাপাশি কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড শাখার অফিসার বীরেশ্বর চট্টোপাধ্যায়কেও এই তদন্তকারী দলে রাখা হয়েছে। এই দুই পুলিশ আধিকারিক সিটে বাকি সদস্যদের বেছে নেবেন। নির্দেশে বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত জানিয়েছেন, আদালতের নজরদারিতে লালন মৃত্যু মামলার তদন্ত চলবে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তদন্তকারী দল গঠনের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
রামপুরহাটের সিবিআই অস্থায়ী ক্যাম্পে বগটুইকাণ্ডের অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত লালনের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। অস্থায়ী সিবিআই ক্যাম্পের শৌচাগার থেকে লালনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। এদিন কলকাতা হাইকোর্টে সেই মামলার শুনানি ছিল। আদালত আরও জানিয়েছে, বিশেষ তদন্তকারী দল গঠনের এক সপ্তাহের মধ্যে আদালতে প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে হবে। এই সময় মধ্যে সিবিআই আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করা যাবে না বলেও জানিয়েছে আদালত। সিবিআইকে তদন্তে সহযোগিতা করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
বীরভূমের বগটুইয়ে তৃণমূল নেতা ভাদু শেখ খুনের পড় ১০ জনকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছিল। সেই ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত ছিল লালন শেখ। ঘটনার পর থেকে বেপাত্তা হয়ে যায় এলাকায় তৃণমূলকর্মী বলে পরিচিত লালন। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে লালন করে গ্রেফতারি করে সিবিআই। গ্রেফতারির ন’দিনের মাথায় রামপুরহাটের সিবিআই ক্যাম্প থেকে উদ্ধার হয় লালনের ঝুলন্ত দেহ।
লালনের মৃত্যুর পর সিবিআই অস্থায়ী ক্যাম্পের বাইরে পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে, যে বাধ্য হয়ে আধিকারিকদের সেখান থেকে চলে যেতে হয়। সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন গ্রামবাসীরা। মৃতের পরিবারের দায়ের করা মামলার ভিত্তিতে প্রথমে লালন মৃত্যুর তদন্তভার হাতে নেয় সিআইডি। সিবিআই আধিকারিকদের অভিযোগের আঙুল তোলে লালনের পরিবার। এই নিয়ে সিবিআই আদালতের দ্বারস্থ হলে আদালত কড়া পদক্ষেপ না করার নির্দেশ দেয়। নিরপেক্ষ কোনও সংস্থা দিয়ে তদন্তের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়েছিল। সেই মামলাতেই আজ এই রায় দিল আদালত।