পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শিশুর অভিযুক্ত মায়ের নাম রোকেয়া বিবি। তাঁর বাড়ি রঘুনাথগঞ্জ থানার মহলদারপাড়ায় বলে জানা গিয়েছে। ওই মহিলা মানসিক ভারসাম্যহীন বলেই পুলিশের অনুমান। তবুও কেন ওই শিশুকে ফেলে দেওয়া হল, তাঁর তদন্ত করেছেন পুলিশ আধিকারিকরা। ওই মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। শিশুটির পরিবারে আর কেউ রয়েছে কিনা তা খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।
সাহেববাজারে বাসিন্দা রাজকুমার মাহাতো বলেন, “আমি ঘুম থেকে উঠে গঙ্গার ধারে মন্দিরে এসেছিলাম। মন্দির পরিষ্কার করার পর আমরা বন্ধুরা মিলে গল্প করছিলাম। হঠাৎ করেই দেখি ব্রিজের উপর থেকে ভারী একটা কিছু জলে পড়ল। প্রথমে ভেবেছিলাম বস্তা ফেলা হয়েছে। কয়েক সেকেন্ড পরেই দেখি একটা বাচ্চা জলে ভাসছে। আমরা সবাই চমকে গিয়েছিলাম। সবাই মিলে আমরা তখনই গঙ্গার জলে ঝাঁপ দিয়ে সাঁতরে বাচ্চাটিকে বাঁচাই।”
তিনি আরও বলেন, “বাচ্চাটিকে বাঁচানোর পর উপরে তাকিয়ে দেখি তাঁর মাও ঝাঁপ দিতে যাচ্ছে। তখনই আমরা চিৎকার করতে থাকি। একজন লোক গিয়ে ওই মহিলাকে ধরে ফেলেন। তারপর বাচ্চাটিকে জল থেকে তুলে উপরে নিয়ে আসা হয়। এখন পুলিশ বাচ্চাটিকে নিয়ে গিয়েছে। কেন বাচ্চাটিকে ফেলা হল এখনও আমরা জানি না।”
সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে অসংলগ্ন উত্তর দিয়েছেন শিশুটির মা। পুলিশের জিপে বসে রোকেয়া বিবি নামে ওই মহিলা বলে, ‘পানি পছন্দ হয়েছে আমার। পবিত্র পানি তাই…’ স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মহিলার বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে পারবারিক অশান্তি চলছিল। সেই কারণে শিশুটিকে জলে ফেলা হয়ে থাকতে পারে বলেই মনে করছেন তাঁরা।