Nadia News : ব্যাঙ্ক আধিকারিকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারে রহস্য – body of a senior bank manager is recovered in nadia


এই সময়, কৃষ্ণনগর: গলায় আই কার্ড, মুখে মাস্ক। ব্যাঙ্কে যেতেন যেমন ফর্মাল পোশাকে, তাই ছিল পরনে। এই অবস্থায় ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এক সিনিয়র ম্যানেজারের। শনিবার রাতে কৃষ্ণনগরের একটি চারতলার ফ্ল্যাটে তাঁর দেহটি মেলে। নাম অজয়কুমার সরকার (৫৪)। আদি বাড়ি পশ্চিম বর্ধমান জেলার রানিগঞ্জের স্কুলপাড়ায়। ব্যাঙ্কের নদিয়া সার্কেল অফিসে সিনিয়র ম্যানেজার পদে কর্মরত ছিলেন তিনি।

Purulia News : গলায় লাগানো ওড়নার ফাঁস, পুরুলিয়ার যুগলের দেহ উদ্ধার ঘিরে রহস্য
ফর্মাল পোশাকে থাকলেও, ব্যাঙ্ক সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার তিনি অফিসে যাননি। শেষ অফিসে গিয়েছিলেন ১৬ এপ্রিল। কী কারণে এই অস্বাভাবিক মৃত্যু, তা স্পষ্ট হয়নি এখনও। কৃষ্ণনগর জেলা পুলিশের অতিরিক্ত সুপার (সদর) সঞ্জয়কুমার মাকওয়ান বলেন, ‘পরিবারের তরফে কোনও অভিযোগ আসেনি। অস্বাভাবিক মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

Bankura News : অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী-স্বামীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার বাঁকুড়ায়, বাড়ছে রহস্য
স্থানীয় পাত্রবাজারের এই ফ্ল্যাটবাড়িতে একাই থাকতেন অজয়। তাঁর মৃত্যুতে বেশ কিছু প্রশ্ন উঠেছে। এটি যদি আত্মহত্যার ঘটনা হয়, তাহলে কেন তিনি গলায় অফিসের আইকার্ড ঝুলিয়ে আত্মহত্যা করতে গেলেন? কোনও পারিবারিক অশান্তি নাকি পেশাগত কোনও সমস্যার জের? মৃতদেহ উদ্ধারের সময় ডাকা হয়েছিল স্থানীয় পুর কাউন্সিলর শুভশ্রী দাস বিশ্বাসকে।

Titagarh Shootout : টিটাগড়ে ভরদুপুরে শ্যুট আউট, গুলিতে ঝাঁঝরা তৃণমূল কর্মী
শুভশ্রী বলেন, ‘মৃতদেহ উদ্ধারের সময় ফ্ল্যাটের ওই ঘরে আর কেউ ছিলেন না বলে পুলিশকর্মীরা আমাকে ডেকে মৃতদেহটি মর্গে পাঠান। কী কারণে অস্বাভাবিক মৃত্যু, আমরাও জানতে পারিনি। ওয়ার্ডের বাসিন্দা হলেও সে ভাবে চিনতাম না ওঁকে। জানলার ফাঁক দিয়ে শনিবার রাতে ঝুলন্ত দেহটি প্রথমে দেখতে পান এক আবাসিক। তারপর অন্য আবাসিকরাও ছুটে আসেন বলে জেনেছি।’

শনিবার রাতেই কোতোয়ালি থানার পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। ছুটে আসেন মৃতের স্ত্রী। আর কিছু দিন পরই তাঁর মেয়ের বিয়ে বলে শোনা গেলেও এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি পরিবার।

South 24 Parganas : গলার নলি কাটা অবস্থায় অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার সোনারপুরে, আতঙ্ক এলাকায়
ব্যাঙ্ক সূত্রে জানা গিয়েছে, অজয় আগে ব্যাঙ্কের বেথুয়াডহরি শাখায় ছিলেন। কৃষ্ণনগরে ব্যাঙ্কের নদিয়া সার্কেল অফিসে আসার পর ইদানীং তাঁকে নিয়মিত অফিসে আসতে দেখা যেত না। এক সহকর্মী বলেন, ‘উচ্চপদস্থ কাউকে না জানিয়েই হঠাৎ হঠাৎ অফিস কামাই করতেন তিনি। কোনও মানসিক চাপে ছিলেন কিনা, তাও টের পাইনি আমরা।’

নদিয়ার ব্যাঙ্কগুলির লিড ডিস্ট্রিক্ট ম্যানেজার তপু দত্ত বলেন, ‘অজয় সিনিয়র ম্যানেজার হিসেবে লোন রিকভারি বিষয়গুলো দেখতেন। আমরা যতদূর জেনেছি, তিনি ১৬ এপ্রিল শেষ ব্যাঙ্কে এসেছিলেন। তবে কী কারণে তাঁর এই অস্বাভাবিক মৃত্যু, বুঝতে পারছি না আমরাও।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *