তাঁকে কপালকে ‘ঈর্ষা’ করেছেন অনেকে। অনেকেই আবার ভুবনের মতো হতে চেয়েছেন। ভুবনের মতো ভাইরাল হওয়ার জন্য এবার চা বিক্রি করতে করতে গান গাইছেন বারাসত কাজিপাড়ার বাসিন্দা মহম্মদ শাহজাদা। জানান, তিনিও ভাইরাল হতে চান। আর সেই জন্যই ‘চা বিক্রি করতে করতে করতে ব়্যাপ করছেন তিনি। কোনও রাখঢাক না করেই এই যুবক স্পষ্ট জানালেন, ভুবন বাদ্যকরের ভাইরাল হওয়ার পরেই চা বিক্রি শুরু করেছেন তিনি। সঙ্গে গাইছেন গান। আশা, একদিন তো ভাইরাল হবেনই।
বারাসত আদালত চত্বরে চা বিক্রি করেন শাহজাদা। সঙ্গে সুর ধরেন “চা খাবে কি দাদা চা,খাবে কি আদা গোলমরিচ লবঙ্গ লিকার দিয়ে চা”। যদিও গান শুনিয়ে চা বিক্রি করলেও এখনও পর্যন্ত ভাইরাল হওয়ার ‘সৌভাগ্য’ তাঁর হয়নি।
নিজের লক্ষ্যের কথা নিয়ে চুপ চুপ রাখ ঢাক করেননি তিনি। শাহজাদা বলেন, “লকডাউনের সময় ভাইরাল হয়েছিলেন বাদাম কাকু। আমি তাঁকে দেখেই গান গেয়ে চা বিক্রি করা শুরু করেছিলাম। সকলেই চায় জনপ্রিয় হতে এবং সকলের মধ্যে পরিচিত হতে। আমিও ব্যতিক্রম নই। গান গেয়ে চা বিক্রি করি। এতেই অনেক মানুষ আসেন। তাঁরা চা পান করেন। ভালো লাগে। আর কী চাই!”
তাঁর কথায়, “এই গান আমি নিজে গেয়েছিলাম। ভাইরাল হওয়ার উদ্দেশে তৈরি করেছিলাম।” যদিও এখনও পর্যন্ত নেটপাড়ার নজরে সেভাবে পড়েননি তিনি। স্রোতা যাঁরা তাঁর থেকে চা কিনছিলেন তাঁরাও আহামরি প্রশংসা করছেন না এই গানের। বারাসত কোর্ট চত্বরে তাঁর এক গ্রাহক বলেন, “চা অত্যন্ত ভালো। আদা দিয়ে ও চা করে। তবে আলাদা করে গানের বিষয়ে কিছু বলার নেই।”
গত কয়েক বছরে বিভিন্ন সময় ভাইরাল হয়েছেন বহু ব্যক্তি। তালিকায় রয়েছেন ভুবন বাদ্যকর থেকে শুরু করে রাণু মণ্ডল। সোশ্যাল মিডিয়ার সুবাদে তাঁরা ক্ষণিকের জনপ্রিয়তা পেয়েও হারিয়ে গিয়েছেন সময়ের সঙ্গে সঙ্গে। এখন দেখার শাহজাদা কি ভাইরাল হবেন?
অন্যদিকে, এই ‘ভাইরাল খিদে’ নিয়ে রীতিমতো উদ্বেগে মনোবিদদের একাংশ। এক বিশিষ্ট মনোবিদের কথায়, “আগেও মানুষজনের লক্ষ্য ছিল চিকিৎসক, ইঞ্জিনিয়র হওয়ার। কোনও ইচ্ছে কোনওদিন ভুল হতে পারে না। কিন্তু, তার জন্য পরিশ্রমের প্রয়োজন। হঠাৎ কে কবে এসে ভাইরাল করবে, সেই আশায় বসে থাকা একেবারে উচিত নয়।”