ধৃত দুই পাচারকারীর নাম সেখ ইয়ার মহম্মদ ও সেখ শান্তি। উদ্ধার ৭ টি কয়লা বোঝাই বাইক। ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই আবারও অবৈধ কয়লা পাচার রুখল বীরভূম জেলার সদাইপুর থানার পুলিশ।
সোমবার ভোরবেলায় অভিযান চালিয়ে সদাইপুর থানা এলাকার পারুলিয়া পঞ্চায়েতের অধীনে শঙ্করপুর জঙ্গলের রাস্তায় পাচার হওয়া ৭ টি কয়লা বোঝাই মোটর বাইক আটক করে পুলিশ। পুলিশকে দেখে চম্পট দেয় কয়লা পাচারকারীরা। তবে দু’জন কয়লা পাচারকারী পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়। ধৃতদের নাম সেখ ইয়ার মহম্মদ ও সেখ শান্তি।
দু’জনের বাড়ি দুবরাজপুর থানার পাকুড়িয়া গ্রামে। ধৃতদের সঙ্গে আরও কয়েকজন এই কয়লা পাচার চক্রের সঙ্গে যুক্ত বলে পুলিশের ধারণা। পলাতকদের খোঁজে তল্লাশি। উদ্ধার করা ৭ টি মোটর বাইকে ৫ কুইন্টাল করে মোট ৩৫ কুইন্টাল অবৈধ কয়লা পাচার করা হচ্ছিল।
জানা যায়, কয়লা পাচার করতে পাচারকারীরা জঙ্গলের চোরা পথ বেছে নিয়েছে। কিন্তু কয়লা পাচার রুখতে সদা সচেষ্ট রয়েছে সদাইপুর থানার পুলিশ। পাচারকারীদের পিছনে ধাওয়া করে বাইকগুলিকে আটক করা হয়।
উল্লেখ্য, রবিবার কয়লা বোঝাই ৯ টি মোটর বাইক সহ দুজন কয়লা পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছিল সদাইপুর থানার পুলিশ। এর আগেও কয়লা বোঝাই ট্রাক্টর, লরি সহ বহু মোটর বাইক আটক করা হয়েছে। বীরভূম জেলা পুলিশ সূত্রে খবর, কয়লা পাচারকারীদের বিরুদ্ধে লাগাতার অভিযান চলবে।
কয়লা পাচার কাণ্ডে ইতিমধ্যে তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। পাশাপাশি, রাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থা CID-ও কয়লা নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছে। ইতিমধ্যে CBI-র হাতে ELC-র প্রাক্তন ও বর্তমান জেনারেল ম্যানেজার-সহ ৮ শীর্ষ পদাধিকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এদিকে, পুলিশের লাগাতার অভিযানের পরেও নিত্য নতুন কায়দায় কয়লা পাচার চলছে জেলার একাধিক জায়গায়। সদাইপুর, দুবরাজপুর সহ জেলার একাধিক জায়গা কখনও বাইকে, কখনও ট্রাকে আবার কখনও সাইকেলে করে পুলিশের চোখ এড়িয়ে কয়লা পাচার চলে আসছে অনবরত। তবে কয়লা পাচার রুখতে পুলিশ আগামী দিনেও লাগাতার অভিযান চালিয়ে যাবে বলে জানানো হয়েছে।