Dragon Fruit: খোদ মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ, এই চাষ করে কত টাকা আয় হয় জানলে চমকে উঠবেন! – how to plant dragon fruit in west bengal


চাষ করেই কোটিপতি হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পিংলার চাষি সুব্রত মহেশ। প্রথমে স্ট্রেবেরি চাষ, লাভবান হতেই শুরু করেছিলেন ড্রাগন চাষ। কোটিপতি তিনি হয়েছেন কি না তার পরিষ্কার উত্তর না দিলেও নিজেই মানছেন, ‘মোটা টাকা আয় করছি।’

আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়ে উঠছেন গ্রাম বাংলার মহিলারা

ক্যাকটাস গোত্রের এই গাছের ফল দেখতে অত্যন্ত আকর্ষনীয়। এর স্বাদ হালকা মিষ্টি। এশিয়ার অনেক দেশে এই ফল বেশ জনপ্রিয়। ভিয়েতনামে বানিজ্যিকভাবে এই ফলের চাষ হয়। এই ফল স্বাস্থ্যের পক্ষে খুব বেশি রকম উপকারি হওয়ায় এই ফলের চাহিদা বর্তমানে তুঙ্গে। তাছাড়াও এই ফলে ওষধি গুন রয়েছে বলেও চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন। রাজ্যের বাড়ছে এই ফলের চাহিদা জেলা উদ্যাণ পালন দফতর সূত্রে খবর, সাধারণত খরা প্রবন, অনুর্বর জায়গায় এই চাষ হয়ে থাকে। সব মাটিতই এই চাষ হলেও জল যাতে কোনওভাবেই না জমে তা খেয়াল রাখতে হবে। ফেব্রুয়ারি থেকে মে মাস এই চাষের আদর্শ সময়।

এই চাষের প্রাথমিক খরচ অনেকটাই। কিন্তু, তারপরে খরচ প্রায় নেই। অথচ আগামী বেশ কয়েক বছর মোটা টাকা লাভ হবে এই চাষ থেকে। পিংলার চাষি সুব্রত মহেশ এই সময় ডিজিটালকে বলেন, ‘কংক্রিটের খুটি তৈরি করে এই চাষ করতে হয়। এক একটি খুটি তৈরি, সঙ্গে শ্রমিক, চারা গাছ সব মিলিয়ে ১৫০০ টাকা মতো খরচ পড়বে। এক বিঘাতে ৩০০টি খুটি তৈরি করে এই ফলের চাষ করতে সাড়ে চার লাখ টাকা মতো খরচ পড়বে।’

Tomato Cultivation: গরমে টমেটো চাষ করে লাখ লাখ টাকা আয় সম্ভব, কী কী বিষয়ে খেয়াল রাখবেন?
আর লাভ? তিনি বলেন, ‘আড়াই থেকে তিন বছরের মধ্যে গাছ প্রতি বা খুটি প্রতি খুব কম করে ২০ কেজি ফল পাওয়া যায়। বাজারে খুব কম দাম ধরলেও বিঘা প্রতি ৭ লাখ টাকা পাওয়া যাবে। এটা তো প্রথম বছর। এরপর তো আর সেরকম খরচই নেই। ধীরে ধীরে এক একটি গাছ ৫০ কেজি ফল দেবে।’

ড্রাগন ফল চাষকরে জেলার ‘হিরো’ অজিত

সুব্রতবাবু কৃষক রত্ন পুরষ্কার পেয়েছেন ভালো চাষের জন্য। জেলা উদ্যান পালন আধিকারিকরা বলছেন, ‘ড্রাগন ফ্রুট এ রাজ্যে খুব প্রচলিত চাষ নয়। তবে এই চাষ খুব বেশি রকম লাভজনক। তবে দফতরের আধিকারিক থেকে ওই চাষিরা বার বার বলেছেন, খুব ভালোভাবে পরামর্শ বা বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা না বলে এই চাষ একেবারেই করা যাবে না।’

Training For Job : বেকার যুবকের প্রশিক্ষণ দিয়ে কর্মসংস্থান, আজই রামকৃষ্ণ মিশনের সুবর্ণ সুযোগে আবেদনের শেষ দিন
নদিয়া-মুর্শিদাবাদে-মালদা-দক্ষিণ দিনাজপুরে চাষ হচ্ছে ড্রাগন ফ্রুটের। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা মন্দ্যোপাধ্যায় এই চাষের ব্যাপারে উৎসাহ দিয়েছিলেন। কয়েক বছর আগে মুর্শিদাবাদের এক সভা থেকে মমতা বলেছিলেন, ‘ড্রাগন ফল দারুণ জিনিস। এটা বিদেশে রপ্তানি করা যেতে পারে। এই ফল থেকে রংও তৈরি করা যেতে পারে। বুটিকের কাজে লাগানো যেতে পারে সেই রং।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *