কাশীধামে গঙ্গা আরতি দেখতে দেশ বিদেশের মানুষ ভিড় করেন। কাশীর আদলে গঙ্গা আরতির উদ্যোগ নিয়ে বহরমপুর পুরসভা এখনও শুরু করতে পারেনি। জেলা সদর শহর বহরমপুরকে টেক্কা দিয়ে এবার গঙ্গা আরতি শুরু করতে চলেছে রঘুনাথগঞ্জের ধর্ম জাগরণ সংগঠন। বেশ কিছুদিন থেকেই তার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে লোহার কাঠামো দিয়ে তৈরি বেদিও তৈরি হয়ে গিয়েছে। জোড় কদমে শুরু হয়েছে প্রস্তুতি পর্ব। প্রশাসনের অনুমতি চেয়ে সোমবার সন্ধ্যায় রঘুনাথগঞ্জ থানায় আবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। সংগঠনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, প্রশাসন এখনও পর্যন্ত যথেষ্ট সহযোগিতা করছে।
আপাতত প্রতি সপ্তাহের রবিবার ও বৃহস্পতিবার হবে আরতি। সন্ধ্যা সাতটায় নির্দিষ্ট সময়ে তিনজন পুরোহিত আরতি করবে আলাদা আলাদা বেদী থেকে। স্থানীয় বিজেপি নেতা তথা জঙ্গিপুর হাই স্কুলের শিক্ষক নিতাইপদ সরকার বলেন, প্রদীপের ওজন খুব বেশী। পুরোহিতদের অভ্যস্ত হতে সময় লাগবে। প্রথম দিন থেকেই দেড় ঘণ্টা ধরে আরতি সম্ভব নয়। তবে আমারা ঠিক করেছি পুরোহিতরা অভ্যস্ত হয়ে গেলেই দেড় ঘণ্টা চলবে আরতি।
সদর ঘাটের ঠিক উলটো দিকে ভাগীরথীর পূর্ব পাড়ে রয়েছে জঙ্গিপুর শহর। কিংশুক প্রামাণিক বলেন, ”আরতি এমন জায়গায় করা হচ্ছে যাতে গঙ্গা অপর পাড়ের দর্শকও দেখতে পাবেন। এই অংশের গঙ্গার পরিসর খুবই কম ফলে জঙ্গিপুর থেকে স্পষ্ট দেখা যাবে।” গঙ্গা আরতির খবর ছড়িয়ে পড়তেই প্রবল উৎসাহে ভাসছেন রঘুনাথগঞ্জের বাসিন্দা। স্থানীয় বাসিন্দা বিথীকা মণ্ডল বলেন, ”সদর ঘাট থেকে আমাদের বাড়ির দূরত্ব খুব কম। ঘরের কাছে কাশীর মতো গঙ্গা আরতি দেখার সৌভাগ্য হবে ভাবতেই রোমাঞ্চ লাগছে। ”৫ মে বুদ্ধ পূর্ণিমার অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন রঘুনাথগঞ্জ জঙ্গিপুরের বাসন্দারা।