মঙ্গলবার মিল খোলার দাবিতে পথে নামে গোন্দোলপাড়া মিলের শ্রমিকরা। তাঁদের একটাই দাবি অবিলম্বে মিল চালু করতে হবে। মিল চালু না হলে পরিবার নিয়ে অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটছে তাঁদের। এর পাশাপাশি তাঁদের দাবি, শ্রমিক মহল্লাতে ২৪ ঘন্টা আলো ও জল সরবরাহ করতে হবে।
কোনওভাবে আলো বা জল বন্ধ করা যাবে না এই দাবিও করা হয়। গোন্দলপাড়া জুটমিলের মালিক পক্ষের তরফে যে ভাবে আলো-জল সরবরাহ বন্ধ করা হয়েছে, তার জন্য দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয় বিক্ষোভ মিছিল থেকে।
শ্রমিক নেতা ও চন্দননগরের প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক রতন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “অবিলম্বে গোন্দলপাড়া জুটমিল খুলতে হবে। কারখানা বন্ধ থাকাকালীন অবস্থায় বকেয়া সরকারি ভাতা শ্রমিকদের অবিলম্বে প্রদান করতে হবে।”
পাশাপাশি, তাঁর আরও দাবি, অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিকদের বকেয়া গ্র্যাচুইটি টাকা আদায় করতে হবে ও তাঁদের পেনশন সংক্রান্ত কাগজ করে দিতে হবে। মঙ্গলবার সকালে গোন্দোলপাড়া জুট মিলের গেট থেকে মিছিল শুরু হয়। চন্দননগর মহকুমা শাসকের দফতরে ঢোকার আগে বড় বাজারে মিছিল আটকে দেয় পুলিশ।
পাঁচজনের প্রতিনিধি দল মহকুমা শাসক অয়ন দত্ত গুপ্ত এবং যুগ্ম উপ শ্রম আধিকারীক কল্লোল চক্রবর্তীর কাছে স্মারকলিপি জমা দেন। এরপর মিছিল শেষ হয়।
প্রসঙ্গত, এর আগে বহুবার এই গোন্দোলপাড়া মিল বন্ধ হয়। শেষবার পুজোর মুখে বন্ধ হয়ে যায় চন্দননগরের গোন্দল পাড়া জুটমিল।
কর্মহীন হয়ে পড়ল প্রায় চার হাজার শ্রমিক। মালিকপক্ষ ফের নোটিশ দিয়ে জানিয়ে দেয়, বৃষ্টির অভাবে পাটের যোগান কম হয়ে যাওয়ার কারণে পাটের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় কারখানা বন্ধ রাখা হয়েছে। বনধের খবর পেয়েই কারখানার গেটের সামনে ক্ষোভে ফেটে পড়েন শ্রমিকরা। উল্লেখ্য, তার আগে গত দু’বছর কারখানা বন্ধ থাকার পর মাস ছয়েক আগেই খুলেছিল গোন্দলপড়া জুট মিল।