জায়গাটির একটি থ্রি ডি ইমেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। এই থ্রি ডি স্ক্যানিং তদন্তে অনেকটা সাহায্য করবে বলে জানান তিনি। দুই দিন তদন্তের পরে মঙ্গলবার পুনরায় CID ও ফরেন্সিক দল যৌথভাবে রাধিকাপুরের চাদগাঁ গ্রামে এসে পৌছায়। কালিয়াগঞ্জ ব্লকের রাধিকাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চাদগাঁ গ্রামের বাসিন্দা মৃত্যুঞ্জয় বর্মন নামে যুবককে পুলিশ গুলি করে হত্যা করে অভিযোগ ভিত্তিতে তদন্ত চালাচ্ছে CID।
এই ঘটনায় মৃতের দাদা মৃণাল কান্তি বর্মণ পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। রাজ্য সরকার এই ঘটনার তদন্তভার CID-র হাতে তুলে দেয়। সোমবারের পর মঙ্গলবার CID ও ফরেন্সিক দল যৌথভাবে চাদগাঁ গ্রামে এসে তদন্ত চালায়।
ফরেন্সিক দলের সঙ্গে ছিলেন CID-র তদন্তকারী অফিসাররা। তাঁরা মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়ির বেশ কিছু এলাকায় থ্রিডি স্ক্যানার দিয়ে স্ক্যান করে ছবি তুলে নিয়ে যায়। এলাকা থেকে মাটির নমুনা সংগ্রহ করা হয়। যদিও এই ঘটনায় CID তদন্তের মাঝেই মৃত মৃত্যুঞ্জয় বর্মণের পরিবার CBI তদন্তের দাবিতে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন।
গত রবিবার তদন্তকারী আধিকারিকরা ওই গ্রামে তল্লাশি চালাতে যায়। সেই সময় এক গ্রামবাসী তাঁদের একটি গুলির খোল তুলে দেন। যে গুলির খোলটি পাওয়া হয়েছে, সেটি নিহত বিজেপি কর্মীকে মারার জন্য গুলির খোল বলেই মনে করা হচ্ছে। সেটিকে ফরেনসিক তদন্তের জন্য ইতিমধ্যে পাঠানো হয়েছে বলে CID সূত্রে খবর। এছাড়াও ওই এলাকা থেকে একটি রক্তমাখা ওড়না পাওয়া গিয়েছে বলেও খবর।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ এপ্রিল মৃত্যু হয় রাধিকাপুরের চাদগাঁ গ্রামে নিহত হন বিজেপি কর্মী মৃত্যুঞ্জয় বর্মণ। মূলত স্থানীয় বিজেপি নেতা বিষ্ণু বর্মণকে গ্রেফতার করতে ওই এলাকায় গিয়েছিল পুলিশ। তাঁকে না পেয়ে তাঁর বাবাকে পুলিশ নিয়ে যেতে চাইছিল। এরপরেই পুলিশের সঙ্গে বচসার সময় কোনওভাবে গুলি চলে যায়। তখনই মৃত্যু হয় বিজেপি কর্মী মৃত্যুঞ্জয় বর্মণের।