শুভেন্দু সাংবাদিকদের বলেন, “সিধা কীভাবে করতে হয় জানি। বিজেপি নেতা খুনের ঘটনায় জরুরি পরিষেবার গাড়িকে ছাড় দিয়ে কাল সর্বাত্মক বনধ ও অবরোধ হবে। ইতিমধ্যেই আমরা কলকাতা হাইকোর্টে সিবিআই তদন্তের আবেদন জানাচ্ছি। খুনি মমতার শেষ দেখে ছাড়ব। রিষড়া, ডালখোলা ও হাওড়ার হিংসা এনআইএ তদন্ত হচ্ছে। এখানেও শেষ অবধি কী হয় আপনারা দেখতে থাকুন।”
মঙ্গলবার বিজেপির অবরোধস্থলে বক্তব্য রাখেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, “ময়নার বিজেপি নেতা বিজয় ভুঁইয়াকে বাড়ি থেকে ৭০-৮০ জন খুনিরা তুলে নিয়ে যায়। তাঁকে গুলি করে খুন করা হয়। স্থানীয় বিধায়ক ও বিজেপি নেতারা পুলিশের কাছে কাতর আবেদন করেছিল। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। খুনিদের কাছ থেকে বিজেপি নেতার নিথর দেহ সংগ্রহ করে চোরের মতো তমলুকের মর্গে রেখেছে। এটা অত্যন্ত লজ্জার। এই প্রথম খুনিদের থেকে দেহ সংগ্রহ করল মমতার পুলিশ। সঞ্জয় তাঁতী নামে বিজেপির যুবকর্মীর মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে।”
শুভেন্দু বলেন, “আপনাদের সবাইকে সাক্ষী রেখে বলে গেলাম, বিজয়কৃষ্ণ খুনের ঘটনায় আপনারাও স্থায়ী শান্তি পাবেন। ছাড়াও কোনও সিন নেই। কী করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর পুলিশকে আটাকাতে হয় শুভেন্দু অধিকারী তা জানে। বিজয়বাবুর ছেলে ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টে রয়েছেন। আমরা সিবিআই তদন্ত চাই। আইনী লড়াই করে আমরা অধিকার ছিনিয়ে নেব।”
বিজেপি কর্মীদের পথ অবরোধে সাধারণ মানুষের সমস্যা হচ্ছেন বলেও জানিয়েছেন শুভেন্দু। সেই কারণে বেলা ১টায় তাঁদের অবরোধ তুলে নেওয়ার নির্দেশ দেন বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, “আমরা যা করার করব। আগামিকাল বিজেপির তরফে ময়না ব্লকে ১২ ঘণ্টার বনধ হবে। আগামিকাল পাঁশকুড়া থেকে দিঘা পর্যন্ত ১০০ জায়গায় পথ অবরোধ হবে। ৪ মে ১০ হাজার বিজেপি কর্মীকে নিয়ে বিজয় ভুঁইয়ার শ্রদ্ধাঞ্জলি যাত্রা হবে।”