Trending News In West Bengal: মৃত্যুশয্যায় দিদিকে প্রতিশ্রুতি, কথা রাখতে ডাক্তার হয়ে গ্রামে ভাই – brother kept his late sister promise good news


গ্রামে ভালো ডাক্তার নেই। কঠিন অসুখে আক্রান্ত দিদির জন্য উপযুক্ত চিকিৎসাটুকুও করা যায়নি। সেই আফসোস বুকে নিয়েই ডাক্তার হওয়াকেই নিজের জীবনের লক্ষ্য তৈরি করে নিয়েছিলেন ভাই। আর ছিল মৃত্যুশয্যায় দিদিকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণের তাগিদা।অবশেষে দারিদ্রের সঙ্গে লড়াই, বছরখানেকের কঠিন পরিশ্রম ও অধ্যাবসায়ের পর দিদিকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করলেন ভাই। শহরে ডাক্তারি পড়েও দিদিকে দেওয়া কথা রাখতেই ফিরলেন গ্রামে। ভাইয়ের ‘ঘর ওয়াপসি’র খবরে খুশির হাওয়া এলাকা জুড়ে। স্বপ্নপূরণের পরও দিদির অনুপস্থিতি চোখ ভিজিয়ে দিল ভাই মানস রায়ের।

Free Ambulance: ‘জীবে প্রেমই’ আদর্শ, টানাটানির সংসার ভুলে বিনামূল্যে দুঃস্থদের পরিষেবা দেন বাঁকুড়ার আলমগীর

ডাঃ মানস রায়। বাড়ি মেখলিগঞ্জ ব্লকের রানিরহাট এলাকায়। মানসের বাবা সুকুমার রায় জানিয়েছেন, ‘মানসের দিদি মাত্র ২৪ বছর বয়সে কঠিন অসুখে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। তখনই দিদি ভাইকে বলেছিলেন, আমার জীবন তো শেষের দিকে। আমি আর বেশিদিন বাঁচব না রে ভাই। কিন্তু তুই ডাক্তার হয়ে মানুষের জীবন বাঁচানোর কাজ করিস।” ভাইয়ের কাঁধে হাত রেখে দিদি বলেছিল,”ভাই তুই একদিন ডাক্তার হবি। আর মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করবি।”

Trending News: ২৫ বছরের সঙ্গীর মৃত্যু, পোষ্য টিয়ার পারলৌকিক কাজে কেঁদে ভাসাল পরিবার

দিদির সেই স্বপ্ন আজ সার্থক হল।” মৃত্যু শয্যায় দিদির দেখা সেই স্বপ্ন আজ বাস্তব। রায় পরিবারে আজ খুশির সীমানা নেই, আরেকদিকে শোকের জলে ভিজছে চোখ। মাত্র ২৪ বছর বয়সেই চলে যাওয়া মেয়েটার কথা আজ বাবা মায়েরও বারবার মনে পড়ছে। তারই সঙ্গে ছেলের কৃতিত্বেও গর্বে ভরছে বুক।

Local Train: কালিয়া থেকে চিংড়ি, দই-মিষ্টি সহ ১৪ পদ সাজিয়ে লোকাল ট্রেনে আইবুড়ো ভাত সহযাত্রীর

পরিবার সূত্রে খবর, যদিও এই সাফল্যের পথ সহজ ছিল না। ২০১৭ সালে ধূপগুড়ির বৈরাতিগুড়ি হাইস্কুল থেকে ৯০ শতাংশের বেশি নম্বর নিয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন মানস। ২০১৫ সালে মাধ্যমিকেও দারুণ ফল করেন তিনি। প্রায় ৯৪% নম্বর নিয়ে আলোকঝাড়ি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে উত্তীর্ণ হন।

NASA Citizen Scientist: মাত্র ৯ বছরেই ৫ গ্রহাণুর আবিষ্কারক, নাসার কনিষ্ঠ ‘সিটিজেন সায়েন্টিস্ট’ সাউথ পয়েন্টের পড়ুয়া
২০১৮ সালের সর্বভারতীয় নিট পরীক্ষায় তিনি বসেন। ওই বছরেই নিট পাস করে ডাক্তারি পড়ার সুযোগ মেলে। ভর্তি হন কলকাতা মেডিকেল কলেজে। ডাক্তারি পড়া তো দূর, একসময় মেডিকেল কলেজে ভর্তি হওয়ার পর্যন্ত টাকা ছিল না। সেই দুর্দিনে এগিয়ে এসে জামালদহের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা পঞ্চপান্ডব। তারপর জীবনের অনেক চড়াই উতরাই পেরিয়ে তিনি এমবিবিএস পাশ করেন। গত তিনদিন আগে ডাক্তারির ফল বেরোয়। তারপরই থেকেই গ্রামে খুশির হাওয়া। অদূর ভবিষ্যতে মানস ফিরবে এই গ্রামেই। দিদিকে দেওয়া কথা মতোই কাজ করবেন এখানকার মানুষের জন্য।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *