পুকুরের ঘোলাটে জলে স্নান,কাপড় কাচা ও বাসন ধোয়ার কাজ করে থাকেন তারা। বাড়ির নলকূপ চাপতে গিয়ে হাতল ছিটকে ঘটছে দুর্ঘটনা। নলকূপের হাতলের আঘাতে গ্ৰামের অনেক মহিলার দাঁত ভেঙে গিয়েছে, আবার কারও কপাল, নাক ও ঠোঁট ফেটে জখম হয়ে গিয়েছে।
ঘরে ঘরে পানীয় জল, এগিয়ে মালদা
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য থেকে শুরু করে প্রশাসনিক দফতরের কাছে বারবার লিখিত আবেদন জানিয়েও সমস্যার সমাধান হয়নি। তাই ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা গ্রামবাসী।
মূলত নলকূপের উপরেই ভরসা এখানকার মানুষের। কিন্তু, এই গ্রীষ্মে জলস্তর মাটির অনেকটা নিচে নেমে যাওয়ায় নলকূপ থেকে জল বেরোচ্ছে না। তাই গ্রামবাসীরা এলাকায় সাব মারসিবল বসানোর দাবি জানিয়েছেন। কিন্তু, এই সমস্যা কবে দূর হবে সেদিকেই এখন তাকিয়ে রয়েছে গ্রামবাসীরা। শীঘ্রই সমস্যা দূর না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।
Drinking Water Crisis: চাতকের অবস্থা! জল না মিললে ভোট বয়কট
শুধু হরিশ্চন্দ্রপুরের এই গ্রামই নয়, সারা দেশের মতো এরাজ্যের অনেক প্রান্তেই জলের অভাবে হাহাকার চলছে। নবান্নের তরফে এমন পরিস্থিতির সামাল দিতেই নয়া প্রকল্প নবান্নের। বাংলার যেসব জেলার যেসব ব্লকে জলের মারাত্মক অভাব দেখা গিয়েছে সেখানে দুয়ারে জল পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে রাজ্যের জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর।