সওয়াল জবাব শেষের পর মৃত বিজেপি নেতার দেহ দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এই ব্যাপারে কোনও আপত্তি জানায়নি রাজ্য সরকার। রাজ্যের আইনজীবী আদালতকে জানিয়েছেন, মৃতের পরিবারকে নিরাপত্তা দেওয়ার ব্যাপারেও তারা রাজি।
মৃত বিজেপি নেতার দেহ দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের পাশাপাশি রাজ্যকে দ্রুত মৃতদেহ কলকাতার কমান্ড হাসপাতালে নিয়ে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আদালত জানিয়েছেন, পরিবারকে মৃতদেহ দেওয়ার অনুমতি দিতে হবে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ, কমান্ড হাসপাতাল টিম তৈরি করে দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের ভিডিওগ্রাফি করবে। রাজ্য মনে করলে দু’জন এক্সপার্ট সেখানে পাঠাতে পারবে। দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ময়না থানা ও আদালতে জমা দিতে হবে। এর পাশাপাশি মৃতের পরিবার ও প্রতিবেশী অমিত তাঁতির বাড়ি চার সপ্তাহ কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তায় রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
এদিন আদালত জানিয়েছে, বিজেপি নেতার অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের হওয়া এফআইআরে নতুন কিছু ধারা যোগ করতে হবে। সোমবার রাজ্যকে তদন্তে অগ্রগতির রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বিকেলের পর কেন ময়নাতদন্ত, সেই নিয়ে রাজ্যের ব্যাখ্যা চেয়েছে আদালত।
বিজেপি নেতাকে বাড়ি থেকে অপরহরণ করে খুন করা হয়েছে বলে আদালতকে জানিয়ছে মৃতের পরিবারের আইনজীবী। পুলিশকে জানালেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ পরিবারের। মৃতের স্ত্রী লক্ষ্মী ভুঁইয়া রাজ্যের মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র সহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে।
রাজ্যের আইনজীবী অমিতে বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন আদালতকে জানিয়েছেন, যে ঘটনা ঘটেছে সেটা দুঃখজনক। কোনও দোষীকে বাঁচাতে তিনি আদালতে দাঁড়াননি। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে যা বলা হচ্ছে তার জবাব দিতেই তিনি আদালতে দাঁড়িয়েছেন বলেই জানান রাজ্যের আইনজীবী। তিনি জানিয়েছেন, পুলিশের বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছে। কারণ দেহ হাসপাতালে পাঠানোর পরে পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে খুন ও অপরহরণের মামলা রুজু করেছে। ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে তমলুক মেডিক্যাল কলেজে ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। কিন্তু পরিবার দেহ নেয়নি।
তিনি আরও জানিয়েছেন, রাজ্যের এখানো কোনও কিছু লুকনোর নেই। তিনি বলেন, কোর্ট চাইলে আমরা নিজেদের দায়িত্বে দেহ কমান্ড হাসপাতালে পৌঁছে দেব। তবে কোনও রাজনৈতিক দল দেহ হস্তগত করা চেষ্টা করতে পারে বলেই আমাদের আশঙ্কা।