এর ফলে ফের দুর্যোগের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার উপকূল অঞ্চলে। আর এই দুর্যোগের সতর্কতাতেই এবার মৎস্যজীবীদের নিয়ে একটি শিবিরের আয়োজন করা হল নন্দীগ্রামে।
নন্দীগ্রাম এক ব্লক মৎস্য বিভাগের উদ্যোগে কেন্দেমারী বাছুরমারি খাল সংলগ্ন নদী তীরে (গঙ্গা মেলা মোড়) ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনীকে নিয়ে এই শিবির অনুষ্ঠিত হয়। এই শিবিরে মৎস্য আহরণের নির্দেশিকা, মৎস্যজীবীদের সুরক্ষা সহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় করণীয় পদক্ষেপ ও পরিবেশবান্ধব সচেতনতা সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সকল নৌকা, ফিশিং ট্রলারের সঙ্গে যুক্ত মৎস্যজীবীদের সঙ্গে একটি আলাপ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হল।
মৎস্যজীবিদের এই সভায় উপস্থিত ছিলেন নন্দীগ্রাম এক ব্লকের মৎস্য আধিকারিক সুমন কুমার সাহু, নন্দীগ্রাম এক পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ মৌসুমি পানি সহ হলদিয়ার ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনীর আধিকারিকগন। এই শিবিরে ইন্ডিয়ান কোস্ট গার্ড সিকিউরিটি ড্রিলের বিষয়ে আলোকপাত করে।
এছাড়া প্রাথমিক পূর্বাভাস অনুযায়ী, মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে বিষুব রেখার কাছে সুমাত্রা সাগর বা আন্দামান সাগরে তৈরি হতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’, সেই বিষয়ে মৎস্যজীবীদের অবগত করা হয়। নন্দীগ্রাম এক ব্লকের মৎস্য আধিকারিক সুমন কুমার সাহু বলেন, “এই বিষয়ে মৎস্যজীবীদের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রেখে চলা হচ্ছে। তারই অঙ্গ হিসেবে এদিনের এই আলাপ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হল।”
সভায় উপস্থিত মৎস্যজীবী সিকান্দার মল্লিক, অজয় গিরি, আমিনুল ইসলামরা বলেন, “ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’সহ এদিনের সভায় প্রাকৃতিক দুর্যোগ সতর্কতায় নৌকা ট্রলার সহ মৎস্যজীবীদের সুরক্ষায় করনীয় সম্পর্কে জানতে পেরে খুব ভালো হল। গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়ার সময় এই প্রশিক্ষণ কাজে লাগবে।”
যদিও ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’ রাজ্যের উপকূলে আঘাত হানবে কিনা সেই বিষয়ে এখনও নিশ্চিত নন কেউই। এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবেই, তা নিয়ে এখনও নিশ্চিতভাবে কিছু বলা হয়নি। মৌসম ভবনের তরফে জানানো হয়েছে, নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার পর বলা যাবে যে ঠিক কোন পথে এগিয়ে যাবে, কতটা শক্তিশালী হবে। আপাতত পুরো বিষয়টির উপর ক্রমাগত নজর রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন।