জানা গিয়েছে, একই আইটি সংস্থায় কাজ করতেন বাচেন্দ্রী রায় ও নীলাদ্রি দত্ত । দুই তরুণ-তরুণীর মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কই ছিল। মাস ছয়েক আগে নীলাদ্রিকে বিয়ের প্রস্তাব দেন ওই তরুণী। নীলাদ্রি তা নাকচ করে দেওয়া সাংঘাতিক ক্ষেপে ওঠেন ওই তরুণী। এরপরই প্রতিহিংসায় চরম পদক্ষেপ নেন তরুণী।
জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত এই তরুণী মধ্যমগ্রাম থানায় ভুয়ো ম্যারেজ সার্টিফিকেট এবং বিয়ের ভুয়ো ছবি দেখিয়ে যুবকের বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতনের মামলা দায়ের করেন। মধ্যমগ্রাম থানায় অভিযোগ জানায় তরুণী। একইসঙ্গে ওই যুবকের কাছে সেটেলমেন্টের জন্য মোটা টাকা দাবি করে বলে অভিযোগ। পুলিশ নীলাদ্রি দত্তকে গ্রেফতার করে এবং জেলে পাঠিয়ে দেয়।
এরপর নীলাদ্রি মুক্তি পেয়ে দমদম থানার দ্বারস্থ হন এবং সেখানে তিনি তাঁর বিরুদ্ধে ভুয়ো ম্যারেজ সার্টিফিকেট ব্যাবহার করে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ দায়ের করেন। এরপরই তদন্তে নামে দমদম থানা। পুলিশ সমস্ত এই বিষয় তদন্ত করে জানতে পারে মেয়েটি যে ছবিটি ব্যবহার করেছে এবং ম্যারেজ সার্টিফিকেটটি ব্যবহার করেছে সেটি সম্পূর্ণ জাল । এরপর সেক্টর ফাইভ তার অফিসের সামনে থেকে বাচেন্দ্রী রায়কে প্রতারণার মামলায় গ্রেফতার করে।
প্রসঙ্গত, তদন্তে সামনে এসেছে এর আগেও ওই তরুণী তিন থেকে চার জন যুবককে এরকমই মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছে এবং মামলা করে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করে বলে অভিযোগ।