ঠিক কী বলছে আলিপুর আবাহওয়া দফতর?
বুধবার সকাল থেকেই কলকাতার আকাশ আংশিক মেঘলা। সকালের দিকে সামান্য রোদ দেখা গেলেও বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বদলাতে থাকে আবহাওয়া। জানা গিয়েছে, বুধবার শহরে রয়েছে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা। একইসঙ্গে উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনাতেও হতে পারে বৃষ্টি। এদিন কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গতকাল কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি কম এবং কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৭.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি বেশি।এদিন বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ সর্বাধিক ৮৩ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৩৭ শতাংশ। তবে কলকাতায় কালবৈশাখীর সম্ভাবনা রয়েছে কিনা তা এখনও পর্যন্ত আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়নি।
এদিন দক্ষিণবঙ্গজুড়ে ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও দক্ষিণবঙ্গে রয়েছে শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা। পাশাপাশি বুধবার কিছু জেলায় কালবৈশাখীর পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। তবে আগামীকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার থেকে হাওয়া বদলের পূর্বাভাস রয়েছে। শুক্রবার থেকে রাজ্যে তাপমাত্রা ফের বাড়তে পারে বলে জানা গিয়েছে।
বুধ এবং বৃহস্পতিবার সমস্ত জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া। শুক্রবার থেকে পার্বত্য এলাকায় জেলাগুলিতে ফের হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় মোকা সংক্রান্ত আপডেট
৬ মে শনিবার বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হতে পারে। এই ঘূর্ণাবর্ত দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, জানা গিয়েছে এমনটাই। ঘূর্ণাবর্তটি নিম্নচাপে রূপান্তরিত হওয়ার সম্ভাবনার কথা জানাচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা।
কিন্তু, ঘূর্ণিঝড় হওয়ার কোনও সম্ভাবনা রয়েছে কিনা সেই বিষয়ে এখনও মৌসম ভবনের তরফে কোনও তথ্য স্পষ্ট করা হয়নি। কিছু কিছু তথ্য বলছে, আগামী ১৩ থেকে ১৭ মে মধ্যেই এই ঘূর্ণিঝড় উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে। যদিও এই বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনও তথ্য এখনও পর্যন্ত মৌসম ভবনের তরফে দেওয়া হয়নি।