DA-র দাবিতে হরিশ মুখার্জি রোড হয়ে মিছিল করার আবেদন জানিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। তাঁদের তিনটি বিকল্প রুটের প্রস্তাব দেওয়া হলেও সম্মত হননি তাঁরা। হাজরা, দমকল কেন্দ্র থেকে হরিশ মুখার্জি রোড ধরে ডি এন রোড হয়ে আশুতোষ মুখার্জি রোড দিয়ে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি রোড হয়ে হাজরা মোড়ে শেষ হবে এই মিছিল।
আন্দোলনকারীরা হরিশ মুখার্জি রোড হয়ে মিছিল করতে চেয়েছিলেন। রাজ্য অবশ্য তাতে আপত্তি জানায়। রাজ্যের তরফে বলা হয়, “ওই এলাকা অত্যন্ত স্পর্শকাতর।” এদিন বিচারপতি বলেন, “মিছিলের জন্য যে রুট দেওয়া হয়েছে তা সবচেয়ে শান্ত এলাকা।” পাশাপাশি রাজ্যের তরফে আদালতে বলা হয়, “ওই এলাকায় মিছিল করতে গিয়ে যদি ভিড় ছড়িয়ে যায় তার দায়িত্ব কে নেবে? ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা রয়েছে।”
এরপরেই আন্দোলনকারীদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য জানান, মিছিলের আবেদন করার পর কিছু এলাকায় গত ৩ মে ১৪৪ ধারা জারি হয়েছে।
বিচারপতি মান্থার এরপরেই বলেন, ” সকলে যে আশংকা করছে তা সেটা কোর্ট বুঝতে পারছে।” বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যকে উদ্দেশ্য করে বিচারপতি বলেন, “কোনওভাবেই যাতে অশান্তি না হয় এমনভাবে মিছিল করতে হবে।”
উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় হারে DA-র দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন করে চলেছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আওতায় একাধিক রাজ্য সরকারি কর্মীরা শহিদ মিনারের পাদদেশে অবস্থান বিক্ষোভে বসেছেন।
কলকাতা হাইকোর্ট আন্দোলনকারীদের সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসার পরমর্শ দিয়েছিল। এরপর দুই পক্ষই আলোচনায় বসার প্রস্তাবে রাজি হয় এবং তাঁরা আলোচনায় বসেন। কিন্তু, এই আলোচনা নিস্ফলা, স্পষ্ট দাবি করা হয় সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের পক্ষ থেকে।
পাশাপাশি আগামী দিনে আরও আন্দোলনের ধার বৃদ্ধি করা হবে বলে বলে জানান তাঁরা। অন্যদিকে, DA আন্দোলনের নেপথ্যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে দেখছেন রাজ্য শাসক দলের একাংশ। তাৎপর্যপূর্ণভাবে DA মামলার জল গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। সর্বোচ্চ আদালত কী নির্দেশ দেয়, এখন সব নজর সেই দিকেই।