তাঁর কথায়, “যত চাকরি হয়েছে দু-নম্বরী হয়েছে, দুর্নীতি হয়েছে, টাকা নেওয়া হয়েছে। প্রত্যেকটির তদন্ত হওয়া উচিত। সব জায়গায় এরকম ঘটনা বেরোবে। বেআইনি ভাবে টাকা নিয়ে কিংবা পার্টির লোককে ঢোকানো হয়েছে। সে সমস্ত তথ্য সামনে আসছে। মন্ত্রীকেও এর মধ্যে আনা উচিত, তাঁকেও এক্ষেত্রে জবাবদিহি করতে হবে”।
দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্য প্রসঙ্গে গোপীবল্লভপুর এক নম্বর তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি হেমন্ত ঘোষ বলেন, “বন দফতরে যখন নিয়োগ হয়েছিল তখন তিনি (বীরবাহা হাঁসদা) বন প্রতিমন্ত্রী ছিলেন না।” দিলীপবাবুর দাবি হচ্ছে যে বন প্রতিমন্ত্রীকে তদন্তের আওতায় আনতে হবে। কিন্তু, উনি একজন সাধারণ কর্মী ছিলেন, কোনও বিধায়ক ছিলেন না, কোনও মন্ত্রী ও ছিলেন না। দিলীপ ঘোষ পুরোপুরি মিথ্যা বলছেন বলে তৃণমূল নেতার।
পঞ্চায়েত ভোটকে সামনে রেখে দলের সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধির প্রয়োজনে বৃহস্পতিবার বিজেপির নয়াগ্ৰাম বিধানসভার কর্মীদের নিয়ে গোপীবল্লভপুরের একটি বেসরকারি অতিথিশালায় কার্যকর্তা সম্মেলনের আয়োজন করে বিজেপি। সেই সম্মেলনে যোগ দিতে এসে দিলীপ ঘোষ একাধিক বিষয়ে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের সমালোচনা করেন।
এদিন দিলীপ ঘোষ ময়নায় বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন ,”আমরা জানি তাঁকে তুলে নিয়ে গিয়ে খুন করেছে তৃণমূলের হার্মাদরা। এটা চাপা দেওয়ার জন্য তদন্ত চাপা দেওয়া হচ্ছে। ময়নাতদন্ত ঠিকমতো হয়নি। তাই আমরা কোর্টে গিয়েছি কোর্টের নির্দেশে পুনরায় ময়নাতদন্ত হচ্ছে। এসসি কমিশনের ভাইস চেয়ারপার্সন এসে গিয়েছে। তিনি এসে ওখানকার এসপিকে দেখা করার জন্য ডেকে পাঠিয়েছেন।” এরপর তদন্তে আসল সত্যি বেরিয়ে আসবে বলে দাবি তাঁর।
এদিন, গোপীবল্লভপুর ১ নম্বর ব্লকের গোপীবল্লভপুর ৫ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় কেন্দ্রীয় পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের অর্থে নির্মিত একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন করেন দিলীপ ঘোষ। বাগসাই গ্রামের গোপেশ্বর জীউ শিব মন্দিরের নবনির্মিত মুখচালা, মন্দিরের গেট , এবং স্থানীয় একটি হাটচালার উদ্বোধন করেন তিনি । এদিনের উদ্বোধনী কর্মসূচিতে দিলীপ ঘোষ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন গোপীবল্লভপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অম্বিকা বেরা।