দেবস্মিতের পরিবার জানিয়েছে, কঠোর পরিশ্রম ও অধ্যাবসায়েই এই সাফল্য গত ৯ বছর ধরে উদয়নারায়নপুরের পেড়ো সংগঠনী ক্লাবের সিহান জে পি দাসের কাছে ক্যারাটে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে দেবস্মিত। এর আগে জেলা রাজ্য জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতাতেও সে সোনার পদক জিতেছে। এবার আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় সোনার পদক জিতল দেবস্মিত। আগামীদিনে এইরকম আরও প্রতিযোগিতায় নামার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে দেবস্মিত ঘোষ।
অন্যদিকে, শুধু হাওড়া নয়, ক্যারাটেয় যেন বাংলায় সূর্যোদয়। আন্তর্জাতিক ক্যারাটে প্রতিযোগিতায় এশিয়ার বিভিন্ন দেশকে হারিয়ে সোনা জয় করে বাংলার মুখ উজ্জ্বল করেছে পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁচ খুদে। পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধূলায় তাঁদের এমন সাফল্যে খুশি সকলে। ভারত সহ নেপাল, ভুটান, বাংলাদেশ, মায়ানমার ও শ্রীলঙ্কাও এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিল। বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের মাত দিয়ে সোনা জয় পূর্ব মেদিনীপুরে ক্যারাটে প্রতিযোগীদের।
তৃতীয় শ্রেণীর খুদে থেকে অষ্টম-দশম শ্রেণীর পড়ুয়া, ক্যারাটের কিকে তাদের সামনে টিকতে পারেনি বাকি দেশের প্রতিযোগীরা। অনন্য কীর্তি স্থাপনকারী এই প্রতিযোগীরা হলেন। ভগবানপুরের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র অমিত মাইতি, অষ্টম শ্রেণির ছাত্র মৌসুমী গিরি, দশম শ্রেণির পড়ুয়া অর্পিতা দাস, সুপ্রকাশ আচার্য ও পল্লবী ভুঁইয়া। তাঁদের এমন সাফল্যে খুশি পরিবার, এলাকাবাসী সহ প্রশিক্ষণ সংস্থার কর্মকর্তারা। গর্বিত এই সোনার প্রতিযোগীদের কীর্তিতে গর্বিত তাদের স্কুলও।
একই দিনে হাওড়া ও পূর্ব মেদিনীপুরের ক্যারাটেয় সাফল্য বাংলার ক্রীড়াজগতে এনেছে খুশির জোয়ার। প্রশিক্ষক সাগর খামরই জানান, ”বিদেশের প্রশিক্ষিত ছেলেমেয়েদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় এঁটে ওঠার জন্য তাঁদের দীর্ঘদিন ধরে প্রশিক্ষণ এবং প্র্যাকটিসই ম্যাজিকের মতো কাজ করেছে। যার ফলাফল হিসেবে এই সোনা জয়।”