বৃহস্পতিবার মামলার শুরুতেই বিচারপতি রাজাশেখর মান্থারের বক্তব্য, এই এজলাসে দীর্ঘ শুনানি করার সময় নেই। অন্য যে কোনও কোর্ট যে কোনও মামলা থেকে সরে দাঁড়ালে এই কোর্টেই কেন মামলা দেওয়া হচ্ছে! এখন ৫৩ জন বিচারপতি রয়েছেন। যে কোনও কোর্ট এই মামলা শুনতে পারে।
মামলা থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ দিতে গিয়ে লিখিত ভাবে জানানো হয়, রাজ্য সুপ্রিম কোর্টে এমনভাবে আবেদন করেছে যাতে মনে হচ্ছে আবেদনকারীর জন্য শুনানিতে দেরি হচ্ছে। কিন্তু, কোর্ট দেখছে, কোনও পক্ষই এই মামলার দ্রুত শুনানি করতে আগ্রহী নয়। তাই এই মামলা থেকে সরে দাঁড়াল আদালত।
উল্লেখ্য, এই মামলা থেকে আগে সরে দাঁড়িয়েছিলেন বিচারপতি পার্থ সারথি সেন। সেই সময় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি মামলাগুলি পাঠিয়েছিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে।
তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা করে হেনস্থার অভিযোগে দুটি পৃথক মামলা করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। দুটি ক্ষেত্রেই তাঁর বিরুদ্ধে আদালতের অনুমতি ছাড়া নতুন কোনও FIR করা যাবে না এবং তাঁর বিরুদ্ধে এই মামলাগুলিতে কোনও কঠোর পদক্ষেপ করা যাবে না বলে অন্তর্বর্তী নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। চূড়ান্ত শুনানির আগেই মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন বিচারপতি।
উল্লেখ্য, গত বছর ডিসেম্বর মাসে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে রাজ্য সরকারের দায়ের করা ২৬টি FIR-এ স্থগিতাদেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট FIR-গুলির প্রেক্ষিতে কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিশ, এমনই নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। এরই প্রেক্ষিতে হাইকোর্টে আবেদনও করেছিল রাজ্য। কিন্তু, বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর বেঞ্চ তাতে স্থগিতাদেশ দিতে অস্বীকার করেছিল।
এরপর মামলাটির প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য। সর্বোচ্চ আদালত জানিয়েছিল, কলকাতা হাইকোর্ট মামলাটির শুনানি দ্রুত করে নির্দেশ দেবে। যদি প্রয়োজন হয় সেক্ষেত্রে এরপর মামলাটি শুনবে সুপ্রিম কোর্ট। এবার এই মামলা থেকে সরার সিদ্ধান্ত নিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। এখন দেখার এই মামলা নতুন করে কার এজলাসে ওঠে।