অন্যদিকে বুধবার উপাচার্য শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বলে দাবি করেছেন। যদিও শিক্ষকদের পালটা দাবি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও শিক্ষক উপাচার্যের সঙ্গে বৈঠক করেননি। হতে পারে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত কোনও কলেজের শিক্ষকরা এসেছিলেন উপাচার্যের সঙ্গে বৈঠক করতে, এমনটাই মত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের।
বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মতো আবার পুলিশি প্রহরায় বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন উপাচার্য ডঃ সাধন চক্রবর্তী। আন্দোলনকারীরা প্রতিদিনকার মতো প্রশাসনিক ভবনের সামনে ও লবিতে বসেছিলেন।
উপাচার্য সাধন চক্রবর্তী সংবাদ মাধ্যমকে জানান, “গত শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে বলেছিলাম বুধবার এসে বৈঠক করব। সেই মতো বেশ কয়েকজন ক্লাস রিপ্রেজেনটেটিভদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। কিছু বিভাগের অতিরিক্ত ফি নিয়ে তাঁরা আমায় বলেছে। আমি এই বিষয়ে যে কমিটি আছে, তাঁর সদস্যদের বৈঠক করে একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে আমার কাছে পাঠাতে বলব। তারপর দ্রুত নিয়ম মেনে যতটা করা যায় করব। পাশাপাশি ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভালো প্লেসমেন্টের বিষয়টি এদিন আমাকে বলা হয়েছে। এই ব্যাপারটি দেখার জন্য যে আধিকারিক আছেন তাঁকে বলব। আমি চেষ্টা করছি, যত দ্রুত আগের পরিবেশ ফিরিয়ে আনা যায়।”
অন্যদিকে, আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের তরফে সাজিত আব্বাস বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও সিআর উপাচার্যের সঙ্গে বৈঠকে ছিলেন না। বিশ্ববিদ্যালয় নষ্ট করার চেষ্টা করছেন কিছু মানুষ, আমরা তা হতে দেব না।”
কিন্তু প্রশ্ন উঠছেই কেন এখনও এই অচলাবস্থা কাটল না৷ রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দফতর কেন এই বিষয়ে পদক্ষেপ নিচ্ছে না। উপাচার্যের বিরুদ্ধে অনিয়ম, অগণতান্ত্রিক ভাবে প্রশাসন চালানোর অভিযোগে গত ১৪ মার্চ থেকে টানা অবস্থান বিক্ষোভ করছেন শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী ও আধিকারিকদের বড় অংশ। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের গেটে চলছে অবস্থান।
এদিকে, উপাচার্য জানান, তাঁর দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের ৫০ মিটারের মধ্যে অবস্থান-বিক্ষোভ করা যাবে না। শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী বা আধিকারিকদের দফতরে ঢুকতে বাধা দেওয়া যাবে না।