কয়েকটি কুকুর ওই প্রাণীটিকে দেখে খুব চিৎকার করছিল। তখনই ওই দুই গ্রামবাসী কি ব্যাপার দেখতে এসে গাছের ওপর ওই প্রাণীটিকে দেখেন। আর দেখেই তাঁদের হাড়হিম হয়ে যায়। গ্রামবাসীরা এরপর হইচই শুরু করতেই প্রাণীটি গাছ থেকে এক লাফে নেমেই ছোটাছুটি করতে থাকে।
এরপরই মুহূর্তের মধ্যে প্রাণীটি পাশের ভুট্টা খেতে ঢুকে পড়ে। খবর পেয়ে ওই এলাকায় এসে জড়ো হন স্থানীয় বাসিন্দারা। সেই সময়ে খবর দেওয়া হয় বন দফতরে।জলদাপাড়া সাউথ রেঞ্জের শালকুমারহাটের বিট অফিসার সহ বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে আসেন ও সব কিছু পরীক্ষা করে দেখেন।
বনকর্মীরা দেখেন ওই ডুমুরের গাছে প্রাণীটির আচড়ের চিহ্ন রয়েছে। পাশের খেতে একটি পায়ের ছাপও দেখা যায়। তাই এটি চিতাবাঘ বলে বন দফতরও প্রাথমিকভাবে অনুমান করছে।
এরপরেই তটস্থ হয়ে পড়েছেন গ্রামবাসীরা। ওই প্রাণীটির প্রত্যক্ষদর্শী এক গ্রামবাসী জানান, “দুপুর ১২টা নাগাদ ওই এলাকায় পুকুর পাড়ের পাশেই সবজি খেতে কাজ করছিলাম। বেশ কিছুক্ষণ ধরে শুনছিলাম কয়েকটা কুকুর খুব চিৎকার করছে। সেই দেখে ওই গাছের কাছে এসেই দেখতে পাই চিতার মতো দেখতে একটি প্রাণী গাছটির মগডালে বসে রয়েছে। আমাদের দেখতেই ওই প্রাণীটি লাফ দিয়ে নিচে নেমে দৌড়াদৌড়ি করতে করতে ভুট্টা ক্ষেতে ঢুকে যায়। তখন আশেপাশের লোকেরাও চলে আসে। আর বন দফতরে খবর দেওয়া হয়। তারপর থেকেই আতঙ্কে রয়েছেন সকলেই।”
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই লাগাতার লেপার্ডের হানায় আতঙ্কিত হয়ে ছিলেন আলিপুরদুয়ার জেলার হ্যামিল্টণগঞ্জ রবীন্দ্রনগর এলাকার বাসিন্দারা। ভয়ে রাতের ঘুম উড়েছিল তাঁদের। সন্ধ্যা হতেই গ্ৰামে লেপার্ডের আনাগোনা লক্ষ্য করেন গ্রামের বাসিন্দারা। দুটি লেপার্ডকে সন্ধ্যায় গ্রামে ঘুরতে দেখা যায়। বিকেল গড়ালে বাইরে বের হতে ভয় পান এলাকার বাসিন্দারা।
তারা নিজেদের ঘরবন্দী করে নেন। এবার হ্যামিল্টণগঞ্জের সঙ্গে মেজবিল এলাকাতেও ঢুকে পড়ল আতঙ্ক। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে বন দফতরের কাছে নিরাপত্তার দাবি করছেন এলাকার বাসিন্দারা।