মমতা বলেন, ‘কালবৈশাখী বড্ড বেশি হচ্ছে এবং বজ্রপাতে মানুষ মারা যাচ্ছে। গত সপ্তাহে কালবৈশাখীর বজ্রপাতে ১৮ জন মারা গিয়েছে। আমরা এঁদের সবাইকে দু লাখ টাকা করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
ঘূর্ণিঝড় মোকা নিয়েও মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘৭ তারিখ মোচা না মোটা কী একটা আসছে। অনেকেই বলছে পাথরের মতো কিছু একটা আসবে, আর সব নাকি দুমদাম করে ভেঙে দিয়ে চলে যাবে। নানা লোক নানা রকম বলছে। আমাদেরও একটা আবহাওয়া বিশেষজ্ঞদের দল রয়েছে। আমরা যদি আগে থেকে সতর্ক হতে পারি, তবে উপকুলবর্তী এলাকা থেকে মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া যেতে পারে।’
এদিন মালদার প্রশাসনিক সভা থেকে এনআরসি নিয়ে কড়া বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বলেন, ‘ভোট এগিয়ে আসতে আবার এঁদের এনআরসির কথা মনে পড়েছে। তবে আপনার নিশ্চিন্তে থাকুন, আমি থাকতে এখানে এনআরসি করতে দেব না। ওঁরা বলছে আধার কার্ড, প্যান কার্ড না থাকলে মানুষকে ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানো হবে। আমি সবাইকে বল, দয়া করে ভোটার তালিকায় নাম তুলে রাখুন।’
২০২০ সালে কোভিডের সময় ঘূর্ণিঝড় আমফানে তছনছ হয়ে যায় গোটা বঙ্গ। পরের বছর ২০২১ সালে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসেও উপকূলবর্তী জেলাগুলি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তারপরই ঘূর্ণিঝড় মোকা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।
মৌসম ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলা ও ওড়িশাতে প্রভাব পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় মোকার। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, আগামী সপ্তাহে দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়ে বাংলা ও ওড়িশার দিকে ধেয়ে আসতে পারে এই ঘূর্ণিঝড়। এখনও ঘূর্ণিঝড়েল ল্যান্ডফল নিয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেনি দিল্লির মৌসম ভবন।
বাংলা ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব কতটা প্রভাব পড়বে তা এখনও নিশ্চিত করে বলা যায়নি। তবে এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে গোটা বাংলায় ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। বিশ্ব আবহাওয়া দফতরের নিয়ম অনুযায়ী এক একটি দেশ এক একটি ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করে। ঠিক সেইভাবে আরব সাগরের প্রান্তে অবস্থিত ইয়েমেন এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম দিয়েছে।