গতকাল বুধবার জগৎবল্লভপুরে এক দলীয় অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “এই রাজ্যে সরকার চলছে না, সার্কাস চলছে। প্রতিটা ক্ষেত্রে পুলিশ তদন্তের আগেই বলে দিচ্ছে আত্মহত্যা। এভাবে তদন্তকে প্রভাবিত করা হচ্ছে। ফলে রাজ্য সরকার তার ভূমিকা সঠিকভাবে পালন করছে না। এর জবাব পঞ্চায়েত ভোটে মানুষ দেবেন।”
রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর বাড়িতে আয়কর হানা নিয়ে নওশাদ বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় দাঁড়িয়ে বলেছিলেন উনি BJP-র বিধায়ক। উনি ব্যবসায়ী হতে পারেন। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির কাছে যদি তথ্য থাকে তাহলে তারা হানা দিতেই পারে। তবে প্রতিহিংসার জন্য কেউ যেন এজেন্সিকে ব্যবহার না করে। এটাই আশা করব।”
এই বিষয়ে নওশাদ আরও বলেন, “এই ব্যাপারে তৃণমূলের কারও বুক যদি চিনচিন করে তাহলে কিছু করার নেই। বিধানসভার তথ্য অনুযায়ী তিনি এখনও BJP-র বিধায়ক।”
তৃণমূল কংগ্রেসে বেনোজল ঢুকেছে সম্প্রতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই মন্তব্য করেছেন। এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে নওশাদ বলেন, “এতদিন বাদে তাদের এই কথা মনে হল। বাংলার মানুষকে এত বছর ধরে ধোকা দিয়ে আসছে তৃণমূল কংগ্রেস। এখন বাংলার মানুষ জানে কে তাদের অধিকার হরণ করেছে আর কারা তা দিতে পারে। DA থেকে স্কুলে নিয়োগ কারা অধিকার কেড়ে নিয়েছে তা মানুষ দেখছে। মানুষ ঠিক সময়ে এর জবাব দেবেন।”
বুধবার জগৎবল্লভপুরে দলীয় সভা করা ছাড়াও দলীয় কর্মীদের নিয়ে নওশাদ আসন্ন পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে আলোচনা সারেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলের রণকৌশল কি হবে, কাদের দল থেকে প্রার্থী করা হতে পারে, সেইসব বিষয়ে আলোচনা করা হয় বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে।
স্থানীয় এক ISF নেতা এই বিষয়ে বলেন, “এই এলাকায় দলীয় সংগঠন আগের তুলনায় যথেষ্ট মজবুত হয়েছে। নওশাদ নিজেও প্রশংসা করেছেন। আগামি পঞ্চায়েত নির্বাচনে জগৎবল্লভপুরে ভালো ফলাফল করব আমরা।”