কিভাবে শতকরা পরিমাপ হয়, কিভাবে যোগ বিয়োগ, গুণ ভাগ হয়, অঙ্কের মডেল তৈরি করে ছাত্র ছাত্রীরা বোঝাচ্ছে বাকিদের। বর্তমান ছাত্র সমাজ মোবাইল নির্ভর হয়ে উঠেছে। ক্ষুদে শিশুরা নামতা যোগ বিয়োগ ভুলতে বসেছে।
এবার ক্লাস রুমের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে উৎসব আকারে গণিত বোঝার কৌশলের আয়োজন করেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার নারায়ণগড় ব্লকের বড়মোহনপুর ভগবতীদেবী পিটিটিআই, ভগবতীদেবী শিক্ষা নিকেতন ও শিক্ষা আলোচনা সোসাইটি। দুদিন চলবে এই উৎসব।
থাকছে গণিত ও পরিবেশ সংক্রান্ত ক্যুইজ। এদিন এই বিশেষ গণিত উৎসবে যোগ দেন নারায়ণগড় ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক। ছাত্র ছাত্রীদের কাছ থেকে শিখলেন অংকের কৌশল। পাশাপাশি কিভাবে করা হচ্ছে এই সব অঙ্ক তাও তিনি ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানেন।
কলেজ ও বিদ্যালয়ে দুদিন ধরে চলবে গণিত ও পরিবেশ উৎসব। কলেজ জানাচ্ছে, পড়ুয়াদের গণিতের ভয় কাটাতে এই উৎসবের আয়োজন। আনন্দের মধ্য দিয়ে গণিতের নানা বিষয় জানতে ও জানাতেই এই কর্মসূচি। ছোটদের কাছে গণিত ভীতির।
তাই মডেলের মধ্য দিয়ে আরও সহজ করে, আনন্দের সঙ্গে কীভাবে গণিতের কঠিন বিষয় পড়ুয়াদের কাছে সহজ হবে তারই প্রয়াস। আর শুধু গণিত শিখলে হবে না। পরিবেশকেও বাঁচাতে হবে। পরিবেশের বর্তমান যে পরিস্থিতি তাতে যে দূষণ বেড়েছে, বেড়েছে বিশ্ব উষ্ণায়ণ। তা কমাতে তথা পরিবেশ সংক্রান্ত বিষয়ে সম্যক ধারনা দিতে দুটি বিষয় নিয়ে উৎসবের আয়োজন।
গতকাল বুধবার সকাল থেকেই শুরু হয়েছে গুণ, ভাগ, যোগ, বিয়োগ, স্কোয়ার, মেজারের খেলা। আর পরিবেশ বাঁচানোর আয়োজন। আছে ক্যুইজ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এই বিষয়ে আয়োজক স্কুলের এই শিক্ষক জানান, “আমরা যে সময় ছাত্র ছিলাম, সেই সময়ের তুলনায় এখনকার ছাত্র সমাজ অনেকটাই বদলে গিয়েছে।
ছাত্র সমাজের একাংশ এখন মোবাইল ল্যাপটপ ট্যাবলেটে বুঁদ হয়ে থাকে। যার ফলে পড়াশোনা বা মেধা অর্জন অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যার ফল দেখা যায় রেজাল্টে। সেই কারণেই এই উদ্যোগ।” আর এই উৎসবে অংশ নিয়ে যারপরনাই খুশি পড়ুয়ারাও।