ঠিক কী জানিয়েছে আদালত
বুধবার হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, আগামী দু মাসের মধ্যে নিয়ম মেনে নতুন ভাবে ইন্টারভিউ করতে হবে। সেই তালিকা প্রকাশ করতে হবে ওয়েবসাইটে। তবে এখনই চাকরি বাতিলের পরিষ্কার নির্দেশ দেওয়া হয়নি। আদালতের নির্দেশে, নিয়ম মোতাবেক নতুন নিয়োগের পর, যাঁরা যোগ্যদের তালিকায় ঠাঁই পাবেন তাঁদের চাকরি থাকবে। বাকিদের চাকরি বাতিল হতে পারে।
Abhijit Gangopadhyay: ‘অভিজিৎ গাঙ্গুলিকে ফেরত চাই’, বিক্ষােভে স্বর-বদল কুণালের
বন সহায়ক নিয়োগ
২০২০ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টেবর মাসে বন সহায়ক পদে নিয়োগের জন্য ইন্টারভিউ হয়। দু’হাজার শূন্যপদ ছিল সে সময়। বন সহায়ক পদের জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা ছিস অষ্টম শ্রেণি পাশ। চুক্তির ভিত্তিতে নিয়োগে মাসিক ভাতা ঠিক ১০হাজার টাকা। নিয়োগ হয়। সহায়করা মূলত ফরেস্ট গার্ডদের মতোই বনসুরক্ষার কাজ করবেন।
তাতে কয়েক লাখ আবেদন জমা পড়েছিল। বন দফতর সূত্রে খবর, এই আবেদন করেছিলেন বহু পিএইচডি, এমএ, এমএসসি, বি-টেক করা যুবকরা। রাজ্যের বিভিন্ন বনাঞ্চল ও সেখানে থাকা বন্যপ্রাণীদের সুরক্ষার জন্য বহু কর্মী প্রয়োজন। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরেই বন দফতরে নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ ছিল। ফলে সেই সময় বন সহায়ক পদে প্রায় দু’হাজার অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ করার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছিলেন বনকর্তারাও। তবে বিরোধীরা প্রথম থেকেই অভিযোগ তুলেছিল, কিছু লোককে সুবিধা পাইয়ে দিতে বেআইনিভাবে এই নিয়োগ হচ্ছে। মেসেজ করে চাকরির খবর জানানো হয়েছিল। সেই সময় রাজ্যের বনমন্ত্রী ছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।
কী বলছেন রাজ্যের তৎকালীন মন্ত্রী?
রাজীবের সঙ্গে ফোনে এই সময় ডিজিটালের পক্ষে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি অর্ডার কপি এখনও হাতে পাইনি, পড়েও দেখিনি। আইনজীবীর মারফৎ বিষয়টি শুনেছি। ফলে তা নিয়ে এখনই কিছু বলতে পারব না। মহামান্য আদালত যা নির্দেশ দিয়েছে তা অবশ্যই মানতে হবে।’
উল্লেখ্য, শাসকদলের উপর অভিমান করে BJP-তে যান রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২১ সালে তিনি বিজেপির হয়ে ভোটে দাঁড়ান। হারেন পরে আবার তিনি দলে তৃণমূলে ফিরে আসেন। তাৎপর্যপূর্ণভাবে রাজীবের সময় কিছু নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।