বুধবার থেকে এই ফুল দেখতে দলে দলে লোকজন ভিড় জমাচ্ছে তাঁর বাড়িতে। তবে শুধু দেখতে আসাই নয় তাদের বিভিন্ন ভবিষৎবাণী তাকে বেশি ভাবাচ্ছে। কেউ বলছে এটা ভগবান শিবের একটা অংশ। আবার কেউ বলছেন ফুলটা সাপের ফণার মত তাই এটা মা মনসার একটা অংশ। আবার অনেকের মতে এই ধরনের ফুল সাধারণত দেখা যায় না। তাই এটা যখন দেখা গিয়েছে তখন নিশ্চয়ই কোন অমঙ্গলের বার্তা বহন করে এনেছে। অনেকে আবার সতর্ক করছেন এই ফুলে মারাত্মক দুর্গন্ধ হয়। অনেকটা মাংস পচা, ইঁদুর পচে গেলে যেমন গন্ধ হয় তেমন। সব শুনে রীতিমতো আশ্চর্য সঙ্গে আতঙ্কিত।
তবে শুধু টুকুরানী দোলুই একা নন, পরিবারের সকল সদস্যদের কাছে এটা নতুন ঘটনা হওয়ায় কিছুটা হলেও আশ্চর্য হয়েছে সকলে। এদিকে বিষয়টি জানার পর বৃহস্পতিবার সকালেই গ্রামে জানান পরিবেশকর্মী দেবাশীষ সাঁতরা। তিনি সেখানে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের আশ্বস্ত করেন এটা কোন অলৌকিক ঘটনা নয়। এটা স্বাভাবিক ঘটনা। আর এরপরই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে পরিবারের সদস্যরা।
উদ্ভিদ বিজ্ঞানীদের মতে, ওল গাছের যেটাকে ফুল বলা হয় সেটি আসলে পুস্পমঞ্জুরী। ওলের ক্ষেত্রে এর বৈশিষ্ট্য হল স্প্যাডিক্স জাতীয় পুস্পমঞ্জুরী। ওলের ক্ষেত্রে স্প্যাডিক্স মঞ্জুরী বেশ বড় হয়। আর এর স্পেদ খুলে যাওয়ার পর এটিকে শিবলিঙ্গের মত দেখতে লাগে। ওল চাষ করার পর মাটি খুঁড়ে ওল বের করে নেওয়া হয় বলে ফুল জন্মানোর সময় থাকেনা। আর সেই কারণেই মানুষ এই ফুলের সঙ্গে পরিচিত নয়। সুতরাং ওল গাছে ফুল হওয়াটা কোন অস্বাভাবিক ঘটনা নয়। আর পাঁচটা ফুল ফোটার মত এটাও স্বাভাবিক ঘটনা। কিন্তু তাতেও স্থানীয় মানুষদের উৎসাহ কমেনি।