West Bengal Government : উদ্বাস্তুদের হাতে এবার অল্প সুদের বিনিময়েই জমি – west bengal government gave land to refugees for small interest


এই সময়: দেশভাগের পর উদ্বাস্তুদের জন্য রাজ্য সরকারের বরাদ্দ করা জমির মালিকানা নিয়ে জট কাটতে চলেছে। ষাট বছরের বেশি সময় আগে পাওয়া আড়াই হাজার প্লটের দলিল সরকার তুলে দেবে উদ্বাস্তু পরিবারের উত্তরাধিকারীদের হাতে। এ জন্য সরকারকে প্রাপ্য জমির বকেয়া দাম (কেনার সময়ের) সুদ-সহ মেটাতে হবে। কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার আট এলাকায় ছড়িয়ে রয়েছে এই প্লটগুলি। রাজ্য মন্ত্রিসভা এ ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।

দেশভাগের পর পূর্ব পাকিস্তান থেকে আসা উদ্বাস্তু মানুষের পুনর্বাসনে রাজ্য সরকার ১৯৪৮ সালে ল্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড প্ল্যানিং অ্যাক্ট তৈরি করে। এতে কলকাতা ও দুই ২৪ পরগনার আটটি এলাকায় ২১০ একর জমি অধিগ্রহণ করে আড়াই হাজার প্লট ডেভেলপমেন্ট স্কিমের নামে বিক্রির সিদ্ধান্ত হয়। শর্ত ছিল, উদ্বাস্তু পরিবারই এই জমি ন্যূনতম দামে কিনতে পারবে।

West Bengal Government : লিজ-জমি বন্ধকে ফি নেবে সরকার
জমির দাম এককালীন বা কিস্তিতে মেটাতে হবে। এই আট এলাকা হলো কলকাতার বৈষ্ণবঘাটা, পূর্ব পুটিয়ারি, পর্ণশ্রী পল্লি এবং দুই ২৪ পরগনার রাজাপুর, গোপালনগর, ব্যারাকপুর, বেদিয়াপাড়া ও সোদপুর। পরে দেখা গিয়েছে, বহু পরিবার জমির দাম মেটালেও নিঃশর্ত মালিকানা পায়নি। এই মালিকানা নিয়ে রাজ্য সরকারের কাছে একাধিক আবেদন আসছে। অনেক জমি হাতবদল হয়ে বহুতলও তৈরি হয়েছে।

ভূমি রাজস্ব দফতর দেখেছে, ৪০ শতাংশ জমির মালিক প্রাপ্য দাম মিটিয়েছেন, কিন্তু মালিকানা পাননি। ২১ শতাংশ জমির মালিক গোড়ার দিকে কিস্তিতে কিছু টাকা মেটালেও, বাকিটা বকেয়াই রয়েছে। ৩৩ শতাংশের বেশি জমির মালিক বকেয়া না-মিটিয়েই জমি হাতবদল করে দিয়েছেন।

Howrah News : জগৎবল্লভপুরে খেলার মাঠ দখলকে ঘিরে উত্তেজনা, গ্রামবাসীদের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি জমির মালিকের
এ সব জমিতে বহুতল, বাণিজ্যিক কেন্দ্র তৈরি হয়েছে। কলকাতার আশপাশে থাকা তিন এলাকায় এমন ঘটনা সবচেয়ে বেশি। বাকি প্লটগুলি নথিভুক্ত প্রাপকরা দখলে রেখেছেন অথচ সরকারকে কোনও পয়সা দেননি। এ ছাড়া সামান্য কিছু জমি এখনও পড়ে রয়েছে জবরদখলকারীদের নিয়ন্ত্রণে।

ভূমি সংস্কার দপ্তর সূত্রের খবর, কলকাতা পুরসভার ভূমি সংক্রান্ত নিজস্ব আইন সামনে রেখে পর্ণশ্রী পল্লি, বৈষ্ণবঘাটা ও পূর্ব পুটিয়ারিতে ডেভেলপমেন্ট স্কিমে জমি পাওয়া ব্যক্তিরা প্রোমোটারের সাহায্যে বহুতল নির্মাণ করেছেন। তবে বহুতল নির্মাণের পর মালিকানা নিয়ে নানা জটিলতাও তৈরি হচ্ছে।

রাজ্য সরকার ঠিক করেছে, যে সমস্ত জমির মালিক প্রাপ্য টাকা মিটিয়ে দিয়েছেন, তাঁদের আবেদনের ভিত্তিতে নিঃশর্ত মালিকানা দেওয়া হবে। যাঁরা আংশিক মিটিয়েছেন, তাঁদের বকেয়া মেটাতে হবে। এ জন্য জমির পুরোনো দামের উপরে ৬.২ শতাংশ হারে সুদ দিতে হবে। তবে নতুন করে বর্তমান বাজারদর অনুযায়ী জমির দাম ধার্য করা হবে না।

Tea Workers Protest : টি ট্যুরিজম নীতি বাতিলের দাবি, জলপাইগুড়িতে বিক্ষোভ চা শ্রমিকদের
কলকাতা বা লাগোয়া এলাকা, যেখানে জমির দর আকাশছোঁয়া, সেখানে এই নীতি প্রযোজ্য হবে না। সে ক্ষেত্রে অর্ধেক বা তার কম টাকা দেওয়া থাকলে দিতে হবে বর্তমান বাজারদরের ১০ শতাংশ হারে সুদ। এ ক্ষেত্রে জমির হাতবদল হয়ে থাকলেও কোনও সমস্যা হবে না। জবরদখলকারীদের ক্ষেত্রেও এই নীতি অনুসরণ করা হবে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *