একাধিক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের পর ইডি আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, সরকারি কাজের টেন্ডারের নামেও টাকা তুলতেন সায়গল। ইডির দাবি, অনুব্রতর নির্দেশে বীরভূমে জেলা পরিষদে কাজের বরাত পাইয়ে দেওয়ার নাম করে শতাংশের হিসেবে নেওয়া হত কাটমানি। ইডি জানিয়েছেন, জিজ্ঞাবাদের মুখে একাধিক ঠিকাদার কাটমানি দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। এমনকী টাকার যাবতীয় হিসেবও সায়গলের কাছে থাকত বলে জানিয়েছে ইডি। যদিও বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায় চৌধুরীকে এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন,”আমার এই বিষয়ে কিছু জানা নেই।”
ইডি সূত্রে খবর, চালকল ব্যবসায়ী রাজীব ভট্টাচার্যের থেকে এই সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গিয়েছে। জানা গিয়ে বোলপুরের আমোদপুর এলাকার বাসিন্দা রাজীব। স্থানীয় অঞ্চল সভাপতির দায়িত্বেও রয়েছেন তিনি। অনুব্রতর হয়ে যাবতীয় চালকল ব্যবসা তিনিই চালাতেন বলেই জানা গিয়েছে। যদিও তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে কিছু জানিনা, তাই বলতে পারব না।’
Anubrata Mondal: ‘মেয়ের সঙ্গে দেখা হয়নি’ উদগ্রীব অনুব্রত!
অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারির আগে তাঁর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে গ্রেফতার করে ইডি। তিহাড় জেলে বন্দি রয়েছেন সায়গল। এই মামলার তদন্তে প্রথম থেকে তদন্তকারীরা দাবি করছিলেন যে অনুব্রতম মণ্ডলের সঙ্গে গোরু পাচারকারীদের মূল সেতুই ছিলেন সায়গল। তাঁর মাধ্যমেই গোরু পাচারকারীদের টাকা পৌঁছত। দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে পেশ করা চার্জশিটে সেই কথা জানিয়েছে ইডি।
ইডির দাবি, সায়গলের মোবাইল ফোন থেকেই গোরু পাচারকারীদের সঙ্গে অনুব্রতর যোগাযোগ ছিল। এমনকী তৃণমূলের নেতা-বিধায়করাও সায়গলের মারফত কেষ্টর সঙ্গে যোগাযোগ করতেন। সায়গলের মোবাইলের কল রেকর্ডও আদালতে জমা দিয়েছে ইডি।