হাজরা থেকে এই মিছিল শুরু হয়েছে। এবং তা হরিশ মুখার্জি রোড হয়ে ডি এল রোড হয়ে আশুতোষ মুখার্জি রোড হয়ে আশুতোষ কলেজের সামনে দিয়ে তা ফের হাজরা মোড়ে ফিরে আসবে।
পাশাপাশি আদালতের অনুমতি মোতাবেক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনের রাস্তা দিয়ে মিছিল নিয়ে যাবে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। এদিন বেলা ১টা থেকে মিছিল শুরু হয়। উল্লেখ্য, মিছিলের অনুমতি দেওয়াল সময়ই কলকাতা হাইকোর্ট স্পষ্ট করে দিয়েছিল শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল করতে হবে। কোনওভাবেই কুকথা বলা যাবে না মিছিল থেকে।
উল্লেখ্য, হরিশ মুখার্জি রোড ধরে এই মিছিলের অনুমতি চেয়েছিল রাজ্য সরকারি কর্মীদের একাংশ। কিন্তু, প্রথমে তাতে সম্মতি দেয়নি পুলিশ। এই মামলার জল গড়িয়েছিল হাইকোর্ট পর্যন্ত।
উল্লেখ্য, শনিবার ধরনার ১০০ তম দিনেহাজরা মোড় থেকে এই মিছিল শুরু হবে। এদিকে লালবাজার সূত্রে খবর, যে রাস্তা দিয়ে DA আন্দোলনকারীদের মিছিল যাবে তার পাশেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি। যাতে কোনওভাবেই অশান্তির ঘটনা না ঘটে সেজন্য গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলিতে অতিরিক্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এই মিছিল নিয়ে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের একাংশই আপত্তি তুলেছিল। তারা চেয়েছিল ধরনার ১০০তম দিনে একটি ঐতিহাসিক সমাবেশের আয়োজন করতে। মঞ্চের আহ্বায়ক বিশ্বজিৎ মিত্র এই বিষয়ে জানিয়েছিলেন, তাঁরা ঐতিহাসিক সমাবেশের প্রস্তাব দিলেও তা নিয়ে কর্ণপাত করা হয়নি।
এমনকী, হাজরায় বিশেষ বিশেষ কোনও ব্যক্তির বাড়ি হওয়ার জন্য সেই দিকে মিছিল করতে চেয়েছেন কিছু কিছু মানুষ, এমনটাই দাবি করেছেন তিনি। অন্যদিকে, সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ জানিয়েছিলেন, ২১টি সংগঠন মিছিলের পক্ষে রায় গিয়েছিল। তাই সংখ্যা গরিষ্ঠতার উপর ভিত্তি করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরেই কেন্দ্রীয় হারে DA-র দাবিতে আন্দোলনে পথে নেমেছেন সরকারি কর্মীরা। উল্লেখ্য, কলকাতা হাইকোর্টের পরামর্শ মোতাবেক ইতিমধ্যেই রাজ্যের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিল রাজ্য সরকারি কর্মীরা। কিন্তু, সেই আলোচনা ফলপ্রসূ হয়নি।
রাজ্য বাজেটের দিন তিন শতাংশ DA বাড়ানোর কথা ঘোষণা করলেও তাতে সন্তুষ্ঠ হয়নি সরকারি কর্মীরা। DA-র নামে ‘ভিক্ষে’ দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছিলেন সরকারি কর্মীদের একাংশ। উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টেও গড়িয়েছে DA মামলার জল।