Purba Midnapore News: ‘মায়ের ওষুধ কিনতে দৌঁড়েছিল’, হাহাকার শুভেন্দু কনভয়ের গাড়ির ধাক্কায় প্রাণ হারানো ইসরাফিলের পরিবারের – purba midnapore man sheikh israfil family who died in suvendu adhikari convoy car accident opens up about the incident


বাড়ির একমাত্র রোজগেরে ছেলে। মায়ের অসুস্থতার কথা শুনেই সাইকেল নিয়ে ছুটে গিয়েছিলেন স্থানীয় চণ্ডীপুর বাজারে ওষুধ আনতে। কিন্তু, ওষুধ নিয়ে বাড়ি ফেরা হল না তাঁর। দিঘাগামী জাতীয় সড়কে চণ্ডীপুরে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কনভয়ের গাড়ির ধাক্কায় প্রাণ হারালেন চণ্ডীপুরের সেখ ইসরাফিল (৩৩)।

তাঁর বাবা বাবা শফিউদ্দিন খান পেশায় ভ্যান চালক। তাঁদের সংসারে অভাব-অনটন থাকলেও সংসার ছিল সুখের। পেশায় ইসরাফিল রাজমিস্ত্রির শ্রমিক ছিলেন। তাঁর রোজগারের উপর ভিত্তি করেই সংসার অনেকটাই দাঁড়িয়েছিল বলে দাবি প্রতিবেশীদের। বাড়িতে ছিলেন মা সায়রা বানু বিবি, স্ত্রী মদিনা এবং একমাত্র ছেলে ফিরদৌস। ফিরদৌস স্থানীয় স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র।

Suvendu Adhikari : শুভেন্দুর কনভয়ের ধাক্কায় যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ! জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ
ছেলের পড়াশোনার খরচ এবং অভাবের সংসার সামলেও যেটুকু সঞ্চয় হয়েছিল তা দিয়েই সম্প্রতি গ্রামে একটি পাকাবাড়ি তৈরি করছিলেন ইসরাফিল। জানা গিয়েছে, তাঁর মা সায়রা বানু জানিয়েছিলেন তিনি মাথার যন্ত্রণায় ভুগছেন। এই কথা শোনার পরেই সাইকেল চালিয়ে স্থানীয় বাজার থেকে ওষুধ আনতে ছুটে গিয়েছিলেন ইসরাফিল। কিন্তু, মায়ের কষ্ট লাঘবের জন্য বাড়ি থেকে বার হওয়া ছেলে যে আর কোনওদিন ঘরে ফিরবেন না, তা ঠাহর করতে পারেননি পরিবারের কেউ।

Suvendu Adhikari : শুভেন্দু অধিকারীর কনভয়ের চালক গ্রেফতার, ঘাতক গাড়ি রাখা হল পুলিশ লাইনে
স্বাভাবিক কারণেই বাড়ির ছেলে মৃত্যুতে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে এই পরিবারের। ঘনঘন মূর্ছা যাচ্ছেন মা সায়রা বানু। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন স্ত্রী মদিনা। শোকে পাথর বাবা শফিউদ্দিন খান। কোনও খাবার দাঁতে কাটতে পারেন না তাঁরা।

শফিউদ্দিন খান রীতিমতো ক্ষোভ উগরে বলেন, “আমার একমাত্র তরতাজা ছেলের এমন পরিণতি হবে তা কখনও ভাবতেও পারিনি। সারাদিন হাড়ভাঙা খাটুনির পরেও একবার মায়ের শরীর খারাপের কথা শুনেই ও দৌড়ে ওষুধ আনতে গিয়েছিল। ওর এই পরিণতি আমরা কেউ মেনে নিতে পারছি না।”

Suvendu Adhikari : সায়ন্তিকা থেকে সোহম, শুভেন্দুর গ্রেফতারির দাবিতে উত্তাল শহর থেকে জেলা
উল্লেখ্য, শুক্রবার দুপুরে তাঁর মৃতদেহ নিয়ে বাড়ি যান স্থানীয় বিধায়ক সোহম চক্রবর্তী সহ রাজ্য ও জেলার তৃণমূল নেতারা। পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন তাঁরা। যদিও এখনও পর্যন্ত কোনও অর্থসাহায্যের কথা ঘোষণা করা হয়নি। এদিকে পরিবারের একমাত্র রোজগেরে ছেলে চলে গিয়েছে।

ফলে সংসার ভেসে যাওয়ার আশঙ্কা করছে পরিবার। আগামীদিনে কী ভাবে সংসার চলবে তা বুঝতে পারছে না এই পরিবারের সদস্যরা। শুক্রবার দুপুরে তাঁর দেহ বাড়ি নিয়ে যাওয়া হলে ভিড় জমান প্রতিবেশীরা।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *