মনোরঞ্জন মিশ্র: ভিন্ন দাবি দাওয়া জানিয়ে অযোধ্যা পাহাড়ের গ্রামে গ্রামে দেওয়াল লিখন করে ভোট বয়কটের ডাক দিল আদিবাসীরা। বনাধিকার আইন ২০০৬ মানতে হবে, গ্রামসভা স্বীকৃতি, টুরগা -সহ বিভিন্ন প্রজেক্ট বাতিল, জল জঙ্গল জমি রক্ষা করা -সহ একাধিক দাবিতে গ্রামে গ্রামে দেওয়াল লিখন করে ভোট বয়কটের ডাক হয়েছে অযোধ্যা পাহাড়ে। এইসমস্ত দাবি দাওয়া জানিয়ে আদিবাসী সংগঠন ‘ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহলে’র সদস্যরা অযোধ্যা পাহাড়ের গ্রাম পরিক্রমাও করে।
আরও পড়ুন, Anubrata Mandal: গোরুপাচারেই শেষ নয়, সরকারি কাজের বরাতের বদলে কমিশন নিত অনুব্রত!
রাজ্যের পর্যটন মানচিত্রে জায়গা করে নেওয়া বাঘমুন্ডি ব্লকের অযোধ্যা পাহাড়ে ভোট বয়কটের ডাক দেওয়ায় যথেষ্ট অস্বস্তিতে শাসক দল তৃণমূল। পুরুলিয়ার বিজেপির সাংসদের দাবি, ” জঙ্গলমহলে কোনো উন্নয়ন না হওয়ার প্রতিফলন এটা।” অন্যদিকে পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়, আদিবাসী সংগঠনের মানুষদের প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনায় বসার আহ্বান জানান।
আদিবাসী সংগঠন ‘ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহলে’র সদস্যদের দাবি, অযোধ্যা পাহাড়ে জল জঙ্গল জমির ধ্বংস করে কোনও প্রজেক্ট বা হোটেল রিসর্ট তৈরি করা যাবে না। ২০০৬ বনাধিকার আইনকে মেনে চলতে হবে। গ্রামসভা এবং স্বশাসনকে স্বীকৃতি দিতে হবে। বিভিন্ন দাবি দাওয়ার ভিত্তিতে অযোধ্যা পাহাড়ের গ্রামে গ্রামে দেওয়াল লিখনে ছয়লাপ। দাবি না মানলে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট বয়কটের ডাক দেওয়া হয়েছে।
পুরুলিয়ার বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী দাবি করে থাকেন জঙ্গলমহল হাসছে। অথচ তৃণমূলের ১২ বছরের শাসনে কোনওরকম উন্নয়নের কাজই হয়নি। বাম জমানা থেকে তৃণমূলের জমানা পুরো নরকে ঠেলে দিয়েছে। মানুষ এর জবাব দেবে।” যদিও পুরুলিয়া জেলা পরিষদ সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহল আদিবাসীদের কন্ট্রোলে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ওদের উচিত প্রসাশনের সঙ্গে আলোচনায় বসা।”
আরও পড়ুন, Cyclone Mocha: আজই বঙ্গোপসাগরে তৈরি হবে ঘূর্ণাবর্ত, মোকার প্রভাব কতটা পড়বে বাংলায়?