Road Accident : বিরিয়ানি ডেলিভারি করতে গিয়েই সব শেষ! অভিজিতের মৃ্ত্যুতে ‘রহস্য’ দেখেছে পরিবার পরিবার – barasat food delivery boy lost life in a road accident family accuses his close friend for his death


মধ্যমগ্রামে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ফুড ডেলিভারি বয় অভিজিৎ দাসের (২৪)। যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় এবার সন্দেহ প্রকাশ করল তাঁর পরিবার। মৃতের বাবা বিশ্বজিৎ দাসের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে বারোটায় অভিজিতের বন্ধু সন্তু তাঁর সঙ্গে ছিল। কিন্তু ছেলের মৃত্যুর পর থেকেই সে উধাও হয়ে গিয়েছে।Balughat District Hospital : ময়নাতদন্তেও ‘রেফার’ রোগ! সরকারি হাসপাতালের ভয়াবহ ছবি বালুরঘাটে
শনিবার বারাসত হাসপাতালের মর্গের ছেলের মৃতদেহ নিতে এসে বিস্ফোরক দাবি করেন বিশ্বজিৎবাবু। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১ টার কিছু আগে এই দুর্ঘটনা ঘটে। তিনি জানিয়েছেন, সেই সময় তাঁর ছেলে খাবার ডেলিভারি করতে যাচ্ছিল। পরিবার জানতে পারে যে মধ্যমগ্রাম ব্রিজের কাছে একটি মোটর সাইকেলে তিনজন মদ্যপ অবস্থায় ছেলেকে ধাক্কা মারে। অভিজিৎ রাস্তার উপর ছিটকে পড়ে যায়। সেই সময় একটি লরি তাঁকে পিষে দেয়।

Asansol Shootout : পদ্ম-নেতা খুনে পথ অবরোধ সিবিআই তদন্ত চেয়ে
মৃত যুবকের বাবার অভিযোগ, হাসপাতালে নিয়ে আসা পর্যন্ত এবং বাড়িতে খবর দেওয়া পর্যন্ত সন্তুর অবস্থান নিয়ে কোনও প্রশ্ন নেই। এমনকী নিজের বাইকে করে অভিজিতের বাবাকে হাসপাতালেও নিয়ে আসে সন্তু। কিন্তু তারপর থেকে সে পলাতক বলে জানিয়েছে মৃতের পরিবার। এমনকী তাঁর বাড়িতেও তালা দেওয়া রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মৃত যুবকের বাবার অভিযোগ, তাঁর ছেলের মৃত্যুর ঘটনায় সন্তুর হাত রয়েছে। জোমাটোর সহকর্মীরা ১২ হাজার টাকার সাহায্য করেছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘আমার ছেলে ইএমআইতে নতুন বাইক কিনেছিল। পরশু দিন ডিউটির নাম করে বেরিয়েছিল। তখনই একটি বাইক আমার ছেলেকে ধাক্কা মারে। তখনই একটি লরি এসে পিষে দেয় আমার ছেলেকে। এই ঘটনার পিছনে সন্তু রয়েছে বলে আমাদের মনে হচ্ছে। কারণ ঘটনার সময় সন্তু আমার ছেলের সঙ্গে ছিল। বারাসত থানা প্রথম ছেলের মৃত্যুর কথা জানায়। সন্তুকে এখনও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ওঁর বাড়ি এখনও তালাবন্ধ। ছেলের মৃত্যুর পিছনে হাত না থাকলে কেন পালিয়ে যাবে? মধ্যমগ্রাম থানা এই কেস চেপে দেওয়ার চেষ্টা করছে।’

Road Accident : জন্মদিনের কেক কেটে দুর্ঘটনায় মৃত্যু কনস্টেবলের
অন্যদিকে তিন মদ্যপ যুবকের একজন এই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। সে এখন বারাসত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বাকি দুজনকে পুলিশ আটক করেছে বলে জানা গেলেও বিশ্বজিৎ বাবুর দাবি, পুলিশ তাঁদের ছেড়ে দিয়েছে।

মৃত অভিজিৎ নামের ডেলিভারি বয় আসলে হৃদয়পুরের সারদা সরণির বাসিন্দা। একসপ্তাহ আগেই পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থার কারণে সে জোমাটোতে ডেলিভারি বয়ের কাজ নেই। এতে যে ছেলে প্রাণ চলে যাবে, তা এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না পরিবারের। বারাসত হাসপাতালের মর্গ থেকে তাঁর দেহ আজ বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে বলেই জানা গিয়েছে। যদিও সন্তুর এখনও কোনও খোঁজ মেলেনি। গোটা ঘটনার তদন্ত করছে মধ্যমগ্রাম থানার পুলিশ।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *