শনিবার বারাসত হাসপাতালের মর্গের ছেলের মৃতদেহ নিতে এসে বিস্ফোরক দাবি করেন বিশ্বজিৎবাবু। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১ টার কিছু আগে এই দুর্ঘটনা ঘটে। তিনি জানিয়েছেন, সেই সময় তাঁর ছেলে খাবার ডেলিভারি করতে যাচ্ছিল। পরিবার জানতে পারে যে মধ্যমগ্রাম ব্রিজের কাছে একটি মোটর সাইকেলে তিনজন মদ্যপ অবস্থায় ছেলেকে ধাক্কা মারে। অভিজিৎ রাস্তার উপর ছিটকে পড়ে যায়। সেই সময় একটি লরি তাঁকে পিষে দেয়।
মৃত যুবকের বাবার অভিযোগ, হাসপাতালে নিয়ে আসা পর্যন্ত এবং বাড়িতে খবর দেওয়া পর্যন্ত সন্তুর অবস্থান নিয়ে কোনও প্রশ্ন নেই। এমনকী নিজের বাইকে করে অভিজিতের বাবাকে হাসপাতালেও নিয়ে আসে সন্তু। কিন্তু তারপর থেকে সে পলাতক বলে জানিয়েছে মৃতের পরিবার। এমনকী তাঁর বাড়িতেও তালা দেওয়া রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মৃত যুবকের বাবার অভিযোগ, তাঁর ছেলের মৃত্যুর ঘটনায় সন্তুর হাত রয়েছে। জোমাটোর সহকর্মীরা ১২ হাজার টাকার সাহায্য করেছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমার ছেলে ইএমআইতে নতুন বাইক কিনেছিল। পরশু দিন ডিউটির নাম করে বেরিয়েছিল। তখনই একটি বাইক আমার ছেলেকে ধাক্কা মারে। তখনই একটি লরি এসে পিষে দেয় আমার ছেলেকে। এই ঘটনার পিছনে সন্তু রয়েছে বলে আমাদের মনে হচ্ছে। কারণ ঘটনার সময় সন্তু আমার ছেলের সঙ্গে ছিল। বারাসত থানা প্রথম ছেলের মৃত্যুর কথা জানায়। সন্তুকে এখনও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ওঁর বাড়ি এখনও তালাবন্ধ। ছেলের মৃত্যুর পিছনে হাত না থাকলে কেন পালিয়ে যাবে? মধ্যমগ্রাম থানা এই কেস চেপে দেওয়ার চেষ্টা করছে।’
অন্যদিকে তিন মদ্যপ যুবকের একজন এই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। সে এখন বারাসত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বাকি দুজনকে পুলিশ আটক করেছে বলে জানা গেলেও বিশ্বজিৎ বাবুর দাবি, পুলিশ তাঁদের ছেড়ে দিয়েছে।
মৃত অভিজিৎ নামের ডেলিভারি বয় আসলে হৃদয়পুরের সারদা সরণির বাসিন্দা। একসপ্তাহ আগেই পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থার কারণে সে জোমাটোতে ডেলিভারি বয়ের কাজ নেই। এতে যে ছেলে প্রাণ চলে যাবে, তা এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না পরিবারের। বারাসত হাসপাতালের মর্গ থেকে তাঁর দেহ আজ বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে বলেই জানা গিয়েছে। যদিও সন্তুর এখনও কোনও খোঁজ মেলেনি। গোটা ঘটনার তদন্ত করছে মধ্যমগ্রাম থানার পুলিশ।