ফোনে এই সময় ডিজিটালকে সোনালি বলেন, ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্কে যত কম বলা যায় ততই ভালো। আমি যদি মুখ খুলি, তাহলে আগ্নেয়গিরি হবে। আমি নির্দিষ্ট করে কারও বিরুদ্ধে কিছু বলিনি। আমি ব্যক্তি রাজনীতিতে বিশ্বাসই করি না। আমি সামগ্রিক রাজনীতিতে বিশ্বাসী।’
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে সোনালি বলেন, ‘অভিষেক আমার স্টেসাসের না, ও যতই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হোক না কেন। ও দু’বারের সাংসদ, আমি চারবারের বিধায়ক। বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার ছিলাম আমি। কেন আমি ব্যক্তি আক্রমণে যাব? রাজনীতি ব্যক্তি আক্রমণকে প্রশয় দেয় না।’
সোনালি গুহ কী আগামী দিনে তৃণমূলে ফিরবেন? এই প্রশ্নের জবাবে সাতগাছিয়ার প্রাক্তন বিধায়ক বলেন, ‘না না কোনও প্রশ্নই নেই। আমি বিজেপি করি, বিজেপিটাই করব আগামী দিনে। আজকেই দুপুরে হাজরা মোড়ে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে মিছিলে যোগ দেব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকলেও তৃণমূলে ফিরে যাওয়ার প্রশ্নই নেই।’
গোরু থেকে কয়লা পাচারে অভিষেকের বিরুদ্ধে একাধিকবার দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন বিরোধীর। সেই প্রসঙ্গে সোনালি বলেন, ‘টিকিট না পেয়ে দু’বছর আগে অভিমানে আমি আমি বিজেপিতে গিয়েছিলাম। কারণ আমার গায়ে দুর্নীতির কোনও ছোঁয়া নেই। আমার পরিবারও দুর্নীতিতে জড়িত নয়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ বিচারাধীন বিষয় তাই এই নিয়ে এখন কোনও মন্তব্য করব না। আমি অভিষেককে নিয়ে কিছুই বলিনি। বলেছি আমি মুখ খুললে আগ্নেয়গিরি হবে।’
এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশীর্বাদেই ওঁর রাজনৈতিক পরিচিতি হয়েছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে সরে যাওয়ার পর তিনি রাজনীতি থেকে হারিয়ে গিয়েছেন। নতুন করে প্রাসঙ্গিক হওয়ার জন্য এইসব বলছেন। মানুষের আশীর্বাদে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এখন যেখানে পৌঁছে গিয়েছেন, তিনি সোনালি গুহর মতো নেতৃত্বের ধরা ছোঁয়ার বাইরে চলে গিয়েছেন। সাধারণ মানুষ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়য়ের সঙ্গে রয়েছে।’