ওঁর ছবি দৌলতেই থাই মার্শাল আর্ট মুয়ে থাই সারা পৃথিবীতে খ্যাতি অর্জন করেছে। দিন সাতেক সময় দিলে মুয়ে থাইয়ের প্রাথমিক পাঠ পেতে পারেন আপনিও। আর সেটাও থাইল্যান্ডে গিয়ে সেখানকার বিশেষজ্ঞদের থেকেই। চিংড়ির মালাইকারির নাম শুনলে জিভে জল আসে না এমন কি কেউ আছেন? তাঁদের বেশির ভাগই হয়তো জানেন না, নারকেলের দুধ দিয়ে প্রায় একই রকম দুর্ধর্ষ জিভে জল আনা খাবার তৈরি করেন থাই শেফের দল। এর নাম তম খা গাই। শুধু এই খাবারই নয়, রয়েছে গলদা চিংড়ির বিশেষ স্যুপ তম ইয়ুম গুং-ও।
থাইল্যান্ড মানেই ব্যাঙ্কক, পাট্টায়া আর ফুকেত নয়। আয়তনে ভারতের চেয়ে অনেক ছোট হলেও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশের সৌন্দর্য এবং রহস্য কিছু কম নয়। বাঙালি পর্যটকদের কাছে থাইল্যান্ডকে আরও ভালো করে চিনিয়ে দিতে শহরে তিন দিনের থাইল্যান্ড উৎসবের আয়োজন করার পরিকল্পনা করেছে ট্যুরিজ়ম অথরিটি অফ থাইল্যান্ড। সহযোগিতায় কলকাতার রয়্যাল থাই কনস্যুলেট জেনারেল। আগামী সপ্তাহে ১২ থেকে ১৪ মে সাউথ সিটি মলে এই উৎসব অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। তিন দিনের এই উৎসবে ঝলক মিলবে থাই রন্ধনশিল্প, হস্তশিল্প, পর্যটন, মার্শাল আর্ট, সঙ্গীত এবং আরও অনেক কিছুর।
ভারতের ট্যুরিজ়ম অথরিটি অফ থাইল্যান্ডের ডিরেক্টর সিরিগেস-আ-নং ত্রিরত্তানাসংপল বলছেন, ‘পর্যটনের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ আমাদের জন্য অত্যন্ত লোভনীয় জায়গা। ২০১৯ সালে এখান থেকে বছরে প্রায় দু’লক্ষ পর্যটক থাইল্যান্ড বেড়াতে গিয়েছিলেন। কোভিড পরিস্থিতি কাটিয়ে আমরা বাংলার থেকে যা ব্যবসা হতো তার প্রায় ৫০ শতাংশই ফিরে পেয়েছি।
আশা করছি এবছর আরও ২৫ শতাংশ ফিরে পাব। সাধারণত বাংলার পর্যটকরা ব্যাঙ্কক, পাট্টায়া এবং ফুকেত বেড়ানোর পরিকল্পনা করেন। কিন্তু, খাও লাক, কোহ সামুই এবং চিয়াং মাইয়ের মতো এমন অনেক জায়গা রয়েছে যেগুলো তুলনায় নিরিবিলি, কিন্তু সৌন্দর্যে কম নয়। থাইল্যান্ড বেড়ানোর খরচ খুব বেশি নয়। বিমান ভাড়া বাদ দিলে মাত্র ২০-২৫ হাজার টাকাতেই চার-পাঁচদিন থাইল্যান্ড ভ্রমণ হয়ে যাবে।’
এই সব জায়গা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য মিলবে তিন দিনের থাইল্যান্ড ফেস্টিভ্যালে। এখানেই দেখা যাবে সে দেশের কোনও নামী শেফকে। তিনি জনপ্রিয় কোনও থাই পদ রান্না করার কৌশল শেখাবেন। দেখা যাবে থাই মার্শাল আর্টের প্রদর্শন। থাইল্যান্ড পর্যটনে আগ্রহীদের জন্য থাকবেন অন্তত পাঁচজন এজেন্ট। সে দেশের পর্যটন বিভাগের অনুমোদন পাওয়া এই এজেন্টদের কাছে থাইল্যান্ড বেড়ানোর সব তথ্য থাকবে। এছাড়াও থাই মিষ্টি জাতীয় খাবার এবং থাইল্যান্ডের বিখ্যাত ম্যাসাজের কর্মশালাও চালু থাকবে দিনভর। উৎসবের দরজা খোলা সকাল ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত।