অভিযোগ উঠেছে, ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মানিক মাইতির হাত ধরে সদ্য BJP ছেড়ে যোগদান করা লোকেরাই এই কাজ করেছে। আর এর জেরেই আঁতলা মোহনপুর রাজ্য সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের একাংশ বিক্ষোভ দেখাল। আহত তৃণমূল কর্মীকে রাস্তায় রেখেই তৃণমূল কংগ্রেসের এক পক্ষ দেখাতে থাকে বিক্ষোভ।
যতক্ষণ না দোষীরা শাস্তি পাবে, ততক্ষণ তাঁরা বিক্ষোভ অবস্থান, রাস্তা ঘেরাও কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন বলে দাবি করেছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। অন্যদিকে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কয়েকটি ব্লকে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে তা এক কথায় স্বীকার করে নিয়েছেন জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতি।
তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা স্বীকার করে নিয়ে অজিত বাবু জানান, “কয়েকটি ব্লকের মধ্যে ওই মোহনপুরে তৃণমূলের নিজেদের মধ্যে যে মতান্তর রয়েছে তা খুব শীঘ্রই মিটিয়ে ফেলা হবে”। কাউকে পরোয়া করা হবে না বলে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন। প্রয়োজনে শোকজ করা হতে পারে অভিযুক্ত নেতৃত্বকে, একথাও বলেন তিনি।
জানান, “দলের শীর্ষ নেতৃত্ব খুব পরিষ্কার ভাবে বলে দিয়েছেন, কোনও দলবাজি বরদাস্ত করা হবে না। তৃণমূল একটাই দল, এতে কোনও গোষ্ঠী থাকবে না। এই ধরনের কাজের সঙ্গে যারা যুক্ত, তাঁদের শো-কজ করা হবে”। এদিকে, জেলা BJP-র সাধারণ সম্পাদক গৌরী শঙ্কর অধিকারী বলেন, “তৃণমূলের দুই পক্ষ দেখতে চাইছে কাদের কাছে কত বোমা বন্দুক আছে, আর তারই লড়াই চলছে এখানে।
এই দলটা শুধুই মারামারি, হিংসা, দুর্নীতি এসব নিয়েই আছে। মানুষের পাশে দাঁড়ানোর কোনও ইচ্ছেই এদের নেই। যত এসব করবে, ততই মানুষের মন থেকে এরা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে”। অন্যদিকে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জেলায় আসার আগেই তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল যেভাবে প্রকাশ্যে আসছে, তা তৃণমূলের কাছে কতটা অস্বস্তিকর হয়ে দাঁড়ায়, তা সময়ই বলবে বলে মনে করছে জেলার রাজনৈতিক মহল।