কমলাক্ষ ভট্টাচার্য: পঁচিশে বৈশাখের সময় ফের বাংলায় আসার কথা আগেই জানিয়েছিলেন শাহ। সেই কথামতো সোমবার রাত সাড়ে ১০টায় রাজ্যে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এখনও যা কর্মসূচি স্থির আছে তাতে মঙ্গলবার দিনভর তিনটি কর্মসূচি সেরে সন্ধ্যে ৭টা ৫০ নাগাদ কলকাতা ছাড়বেন তিনি। মঙ্গলবার রবীন্দ্রজয়ন্তী উপলক্ষ্যে ২টি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা শাহের। প্রথমটি সকালে। ১০টা ৪০-এ পৌছবেন জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি। রবীন্দ্রমূর্তিতে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন করবেন।
মিনিট ২০ জোড়াসাঁকোয় থেকে অমিত শাহ রওনা দেবেন ভারত-বাংলাদেশ সীমানার পেট্রাপোলে। বেলা ১২টা থেকে পরপর পেট্রাপোল থানার নতুন ভবনের উদ্বোধন, ইন্দো-বাংলার ২য় কার্গো গেটের শিলান্যাস ও সীমান্ত পরিদর্শন করবেন। এরপর মধ্যাহ্নভোজ সেরে কলকাতায় রওনা দেবেন। কলকাতায় ফিরে দুপুরে নিউটাউনের হোটেলে রাজ্য শীর্ষ নেতৃত্বদের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন শাহ। এরপর সন্ধেয় সায়েন্সসিটিতে রবীন্দ্রজয়ন্তী উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি। তারপর সন্ধ্যে ৭টা ৫০ নাগাদ কলকাতা ছাড়বেন শাহ।
প্রসঙ্গত, নববর্ষের সময়ও বাংলায় এসেছিলেন শাহ। তারপর ২৫ বৈশাখ ফের বঙ্গে শাহ। ২০২৪-এর লোকসভা ভোটে বাংলায় ৩৫ আসন জয়ের টার্গেট বেঁধে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। পাশাপাশি আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটও। তাই বাঙালি ভাবাবেগকে প্রাধান্য দিয়ে ভোটবাক্সে জয় নিশ্চিত করতেই কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জন্মদিনে শাহের ফের বাংলায় আগমন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। এক ইঞ্চি জমি ছাড়তেও নাছোড় শাহের এ এক মোক্ষম চাল! মত ওয়াকিবহল মহলের।
নববর্ষের সময় বাংলায় এসেও বিজেপি কোর কমিটি বৈঠকে দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে বেশ কিছু বার্তা দিয়েছেন অমিত শাহ। পঞ্চায়েত নির্বাচনে সর্ব শক্তি দিয়ে ঝাঁপানোর বার্তা দেন শাহ। পঞ্চায়েত নির্বাচনের মাধ্যমে লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি শুরু করতেও বলা হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর তরফে। দলীয় সূত্রে খবর, তাঁর সাফ নির্দেশ, লাগাতার কর্মসূচি রাখুন। রাজ্য সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন করুন। অর্থাত্, সরকারকে লাগাতার আন্দোলনের মাধ্যমে চাপে ফেলারই বার্তা সেদিন দলীয় কর্মীদের দেন অমিত শাহ।
আরও পড়ুন, Dilip Ghosh: মোদীর পেছনে কাঠি করলে কী পরিণাম হবে, নীতীশ-উদ্ধবের কথা মনে করিয়ে বেলাগাম দিলীপ