Dilip Ghosh : ‘আদৌ দুর্ঘটনা কিনা তদন্ত হোক’, চণ্ডীপুরে শুভেন্দুর কনভয়ে ধাক্কা নিয়ে পাশে দিলীপ – bjp leader dilip ghosh stand beside lop suvendu adhikari on chandipur accident case


নিউটাউনের ইকো পার্কে প্রাতভ্রমণের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একাধিক ইস্যুতে মুখ খোলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ। সাগরদিঘি নিয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগের জবাব দেন দিলীপ। এর পাশাপাশি না ইস্যুতে তৃণমূলকে নিশানা করেন মেদিনীপুরের সাংসদ।

Abhishek Banerjee : ৪০ আসন চাই ২৪-এ, লোকসভা নির্বাচনের টার্গেট বেঁধে দিলেন অভিষেক
পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুরে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কনভয়ের ধাক্কায় এক যুবকের মৃত্যুর অভিযোগে পথে নেমেছে তৃণমূল। এমনকী শুভেন্দু পদত্যাগ দাবি করেছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। সেই নিয়ে কার্যত শুভেন্দুর পাশে দাঁড়িয়েছেন দিলীপ। তিনি বলেন, ‘কিছুদিন আগে মুর্শিদাবাদের সাংসদ একটি ছেলেকে চাপা দিয়ে মেরে দিয়েছিলেন। তখন কেউ কিছু বলেনি। আমি ছবিতে দেখলাম যে সাইকেলটা পড়ে আছে সেটা ধাক্কাই লাগেনি। জোরে ধাক্কা লাগলে সাইকেল দুমড়ে যাওয়ার কথা। আদৌ দুর্ঘটনা হয়েছে কিনা, সেটার তদন্ত হওয়া উচিত।’

Dilip Ghosh : ‘হেলিকপ্টার থেকে ট্রেনে নেমেছেন! এরপর বাসে…’, মুখ্যমন্ত্রীর রেলযাত্রা নিয়ে কটাক্ষ দিলীপের
শনিবার মুর্শিদাবাদে ‘তৃণমূলে নব জোয়ার’ থেকে অভিষেক দাবি করেন, সাগরদিঘি উপনির্বাচনে কংগ্রেস জেতায় রাজ্যে বিজেপি শক্তিশালী হয়েছে। সেই নিয়ে এদিন দিলীপ বলেন, ‘বিজেপি কর্মীরাই বিজেপিকে শক্তিশালী বানিয়েছে। বাকি কে জিতল, কে হারল তাতে আমাদের কিছু যায় আসে না। তৃণমূল কেন দুর্বল হয়ে যাচ্ছে ওঁনার সেটা আগে ভাবা উচিত। মানুষই বিজেপি ও অন্যদের জেতাচ্ছে। মানুষ তৃণমূলকে হারাতে চাইছে।’

জনসংযোগ যাত্রা থেকে বারবার কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে মুখ কেন্দ্রকে নিশানা করছেন অভিষেক। তাঁর দাবি বিজেপি সাংসদ সংখ্যা রাজ্যে বৃদ্ধি পাওয়ার পরই কেন্দ্র টাকা আটকানোর সুযোগ পেয়ে গিয়েছে। এই প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, ‘জানি না তখন থেকে চুরি শুরু করেছেন কিনা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন তখন থেকে চুরির প্র্যাকটিস শুরু হয়েছে। তৃণমূল চুরিকে সার্বজনীন করেছে। বাঙালি জাতিকে চোর প্রতিপন্ন করেছে তৃণমূল। সিপিএম-তৃণমূল কিছুই করতে পারেনি। আমরা বরং চুরিটা আটকাতে পেরেছি।’

Sonali Guha Mamata Abhishek Banerjee : ‘অভিষেক আমার লেভেলের নয়….’, বিস্ফোরক মমতার প্রাক্তন ‘ছায়াসঙ্গী’ সোনালি
দিলীপ বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব জায়গা থেকে মৃতদেহ নিয়ে এসে কলকাতা জ্যাম করতেন। এই রাজনীতি গিমিকের রাজনীতি চলেছে। সবই ঠিক এমন ভাবার কোনও কারণ নেই। খুন যাতে না হয় সেটা আমরা দেখব। রাজ্য সরকারও সেটা নিশ্চিত করা উচিত। সারা দুনিয়াতে কোথাও মৃতদেহ নিয়ে রাজনীতি হয় না। এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুরু করেছেন। আগে দেহ নিয়ে যেতেন, এখন উনি মৃতদেহ বানাচ্ছেন। আমরা চাই খুনের রাজনীতি বন্ধ হোক। বাংলায় খুনের রাজনীতি হোক।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *