Udayan Guha : গোরু পাচারে BSF যুক্ত থাকলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী গ্রেফতার নয় কেন? প্রশ্ন উদয়নের – tmc minister udayan guha asks to arrest defence minister as bsf blamed for cattle smuggling on ed chargesheet


Cooch Behar News : ইডির ২০৪ পাতার সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে গোরু পাচারের ক্ষেত্রে উল্লেখ রয়েছে বিএসএফ যোগের কথাও। সেই সূত্রকে হাতিয়ার করে বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়াতে শুরু করেছে রাজ্যের শাসক দল। শিক্ষা দুর্নীতির খাতিরে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতার হলে, গোরু পাচারের বিএসএফ যুক্ত থাকলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী কেন গ্রেফতার নন, সেই প্রশ্ন তুললেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহও।

উদয়নের কথায়, “গোরু কোনও একটা প্যাকেট বা বস্তা নয়, যে সীমান্ত দিয়ে পাচার করে দেবে। সীমান্তে পাচার রুখতে যাঁরা দায়িত্বে আছে, তাঁদের মদত ছাড়া এটা করা সম্ভব নয়।” বিএসএফের একটি অংশ যে গোরু পাচারের সঙ্গে যুক্ত, সেটি ইডির চার্জশিটেই উল্লেখ রয়েছে বলে মত মন্ত্রীর।

Sukanya Mondal Anubrata Mondal: কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি সুকন্যার, সরকারি নথিতে মিলল প্রমাণ
সেখানেই তাঁর যুক্তি, “শিক্ষা দফতরের দুর্নীতির জন্য যদি শিক্ষামন্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়, তাহলে গতকালই ইডি চার্জশিটে বলেছে গোরু পাচারে বিএসএফ জড়িত, তাহলে সেই মন্ত্রকের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী কেন গ্রেফতার হবে না।” সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের দায়িত্বপ্রাপ্তদের ইডি বা সিবিআইয়ের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করার দাবি জানান উদয়ন গুহ।

Anubrata Mondal : স্বজনরাই বলছেন কেষ্ট নাকি কুজন!
উল্লেখ্য, ইডির চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে, অনুব্রত মণ্ডলের নির্দেশে নাকি পুলিশ বীরভূম থেকে মুর্শিদাবাদে গোরু বোঝাই ট্রাক পাঠাতে সাহায্য করা হতো। সেইসব ট্রাকের চালকদের হাতে একটি নির্দিষ্ট ছাপ দেওয়া টোকেন দেওয়া হতো। গোরুর সংখ্যা ধরে গুণে নিয়ে তা বাবদ কমিশন যেত বিএসএফ কর্তাদের কাছে যেত বলেও জানানো হয়েছে।

ইডির চার্জশিটের বিষয়টি সামনে আসার পরেই বিজেপিকে আক্রমণ করতে মাঠে নামে তৃণমূল। তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছেন, “ইডি চার্জশিটে বিএসএফের কথা বলেছে। বিএসএফ চালায় কে? অমিত শাহ। তাহলে তাঁকে কেন এজেন্সি ধরছে না?” তৃণমূলের একের পর এক প্রথম সারির নেতা বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন।

Anubrata Mondal : জেলা পরিষদে ‘কাটমানি’ আদায়! চার্জশিটে অনুব্রতর বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর দাবি ED-র
সূত্রে খবর, ইডির চার্জশিটে দাবি করা হয়েছে, রাত ১১ টা থেকে তিনটে এই চার ঘণ্টা সময়কে বেছে নেওয়া হতো গোরু পাচারের জন্য। মূলত সীমান্ত থেকে জলপথের মাধ্যমে গোরু পাচার করা হতো। বাংলাদেশে পাচারের জন্য বীরভূম থেকে গরু গুলিকে ট্রাকে তুলে, তা মুর্শিদাবাদ জেলার ওমরপুরে পাঠানো হতো। এর জন্য মোটা অঙ্কের টাকা পৌঁছত বিএসএফের একাংশের কাছে যেত বলেও দাবি করা হয়েছে। যদিও ইতিমধ্যে একাধিক বিএসএফ কর্তা এই মামলায় গ্রেফতার হয়েছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *