CV Anand Bose : শেক্সপিয়রের ‘হ্যামলেট’ হয়ে বসে থাকব না! কড়া বার্তা রাজ্যপাল বোসের – west bengal governor cv anand bose says he will not be silent in constitutional crisis


ফের আইন শৃঙ্খলা ইস্যুতে কড় বার্তা দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজ্যে সাংবিধানিক সংকট তৈরি হলে তিনি চুপ করে থাকবেন না বলেও জানিয়েছেন রাজ্যপাল। এদিন আইন শৃঙ্খলা ইস্যুতে কড়া বার্তা দেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান এর পাশাপাশি সাহিত্যিক শেক্সপিয়রের নাটক ‘হ্যামলেট’-র উপমাও টানতে শোনা যায় রাজ্যপাল।

CV Ananda Bose : সূচি বদল বোসের, কাল সমাবর্তনের আগে কোট বৈঠক
সোমবার, রবীন্দ্র জয়ন্তীর আগের দিন জোড়াসাঁকোর এক অনুষ্ঠানে যোগ দেন রাজ্যপাল। সেখানেই এই ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করতে শোনা যায় রাজ্যপালকে। তিনি বলেন, ‘টু বি অর নট টুবি পথের সন্ধান দেবে শিক্ষা। আইন শৃঙ্খলাজনিত বা কোনও সাংবিধানিক সংকট তৈরি হলে আমি চুপ করে বসে থাকব না।’

এই প্রসঙ্গে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘সাংবিধানিক সংকট দেখা দিলে অবশ্যই রাজ্যপালের নির্দিষ্ট ভূমিকা রয়েছে। সংবিধানে তা স্পষ্ট করা হয়েছে। রাজ্যপাল আইন অনুযায়ী কাজ করবে। তবে রাজ্যপাল রাজনৈতিক নেতাদের মতো মন্তব্য করবেন, এটা কাম্য নয়। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি হয়ে সেই অনুযায়ী চলবেন এটা আমরা আশা করি না। সংবিধান অনুযায়ী মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপালের চলার কথা।’

Rabindra Bharati University : রবীন্দ্রভারতীর সমাবর্তনে ডিলিট দেওয়া হচ্ছে না
অন্যদিকে এই নিয়ে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, ‘এই রাজ্যে বারবার সাংবিধানিক অপমান ও যথেচ্চার হচ্ছে। সেই কারণে রাজ্যপাল নিদিষ্ট দায়িত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। রাজ্যপালের এই ইঙ্গিত ন্যায়সঙ্গত। এরপর সরকার ভুল-ত্রুটি সংশোধন করার চেষ্টা করবে। ভুল সংশোধন না করলে যাওয়া হওয়ার তাই হবে।’

২০২২ সালে রাজ্যপাল হিসেবে পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে নবান্নের সঙ্গে ‘সুসম্পর্ক’ রেখে চলার বার্তা দিয়েছিলেন সিভি আনন্দ বোস। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফে রাজ্যপালের উদ্দেশে ‘সৌহার্দ্য’ বজায় রাখার বার্তা দেওয়া হয়। এমনকী সরস্বতী পুজোর দিন রাজভবনে রাজ্যপালের ‘হাতে খড়ি’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই নিয়ে সিভি আনন্দ বোসকে কটাক্ষ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

Mamata Banerjee : ‘তুমি কিছু বলবে না’, প্রশাসনিক বৈঠকে তৃণমূল বিধায়ককে থামিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
হঠাৎ করে রাজ্যপালের ভূমিকায় পরিবর্তন হয়। কলকাতা, প্রেসিডেন্সি, যাদবপুর সহ রাজ্যের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজ্যপালের ঝটিকা সফর ভালো চোখে নেয়নি রাজ্য সরকার। এমনকী রাজভবনের তরফে রাজ্যের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে নির্দেশিকা পাঠানো হয়। তাতে প্রত্যেক সপ্তাহে কাজের রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। কোনওরকম খরচের আগে রাজভবনের অনুমতি নেওয়ার কথাও নির্দেশিকায় লেখা ছিল। রাজভবনের এই আচরণে কড়া প্রতিক্রিয়া দেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।

রামনবমীর মিছিল ঘিরে অশান্তির পরও রিষড়া ছুটে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল। বোসের এই ‘অতি সক্রিয়তা’ নিয়ে অসন্তুষ্ট নবান্ন। এই নিয়ে জল্পনার মাঝে রাজ্যপালের আজকের মন্তব্য বিতর্ক আরও উসকে দিল বলে মনে করা হচ্ছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *