ঠিক কী জানা যাচ্ছে?
এখনও পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং সংলগ্ন দক্ষিণ আন্দামান সাগরে সোমবার একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। ৯ তারিখ তা গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। ১০ তারিখ তা ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হয়ে দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরের উপর অবস্থান করবে। পাশাপাশি ১১ তারিখ পর্যন্ত উত্তর-উত্তর পশ্চিম দিকে গতি ঘুরিয়ে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরের দিকে এগোতে পারে মোকা। এরপর তা বাংলাদেশ-মায়ানমার উপকূলের দিকে অগ্রসর হতে পারে।
এখনও পর্যন্ত আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ এবং পার্শ্ববর্তী সমুদ্রের জন্যই সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
বাংলায় ঠিক কী প্রভাব?
জানা গিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ এবং পরবর্তীতে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হলে তা বাংলা থেকে জলীয় বাষ্প টানতে পারে। এর ফলে দক্ষিণবঙ্গে আবহাওয়া শুষ্ক হবে। বাড়বে তাপমাত্রা জনিত অস্বস্তিও।
ফের একবার দক্ষিণবঙ্গে তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ৯ তারিখ বীরভূম, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব-পশ্চিম বর্ধমানে রয়েছে তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা। এছাড়াও ১০ তারিখ কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে হতে পারে তাপপ্রবাহ। ১১ তারিখ পশ্চিমের জেলাগুলিতে হতে পারে তাপপ্রবাহ, জানা যাচ্ছে এমনটাই।
ফের ৪০ ডিগ্রি ছাড়াবে কলকাতার তাপমাত্রা?
আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, ফের একবার তিলোত্তমার তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছুঁতে পারে। ক্রমশ বাড়ছে কলকাতার তাপমাত্রা। আগামী কয়েকদিনে আরও বাড়বে অস্বস্তি। পশ্চিমের জেলাগুলির তাপমাত্রা ৪২ থেকে ৪৩ ডিগ্রি পর্যন্ত চড়তে পারে।
কেমন থাকবে উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া?
উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে দুই থেকে তিন ডিগ্রি বাড়তে পারে। আপাতত ১১ তারিখ পর্যন্ত মোকা নিয়ে বাংলায় কোনও সতর্কতা নেই। এই ঘূর্ণিঝড় কোন পথে যাবে পরবর্তীতে তার উপর নির্ভর করবে বাংলায় প্রভাব পড়ার বিষয়টি।
শুধু দক্ষিণবঙ্গ নয়, উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও তাপমাত্রা ক্রমশ বাড়তে পারে। এদিকে মোকা মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ প্রশাসনও। সাধারণ মানুষকে আশ্বস্ত করেছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন আতঙ্কের কোনও কারণ নেই। যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত প্রশাসন।
ইতিমধ্যেই লালবাজারে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। উল্লেখ্য, ঘূর্ণিঝড় মোকার নামকরণ করেছে ইয়েমেন।