অজিত মাইতির বিতর্কিত মন্তব্যর নিন্দা জানিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন মেদিনীপুর সংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি সুজয় হাজরার। তিনি জানান, তৃণমূল বিধায়ক অজিত মাইতির মন্তব্য একান্তই ব্যক্তিগত! দল কোনওভাবেই সমর্থন করে না এই বক্তব্যকে। অবিলম্বে অজিত মাইতির প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়া উচিত!
কুড়মি আন্দোলন নিয়ে অজিত মাইতির বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। ব্যাপক প্রভাব পড়েছে কুড়মি জনজাতির মধ্যেও। দিকে দিকে কুড়মি অসন্তোষ প্রকাশ্যে এসেছে। অবশেষে কার্যত চাপে পড়ে সাংবাদিক বৈঠক জেলা তৃণমূলের। মেদিনীপুর সংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি সুজয় হাজরা সাংবাদিক বৈঠক করে জানান, অবিলম্বে ক্ষমা চাওয়া উচিত অজিত মাইতির। এমন বক্তব্যকে দল সমর্থন করে না বলেই জানিয়েছেন সুজয় হাজরা।
একদিকে যখন জেলা সভাপতি সাংবাদিক বৈঠক করছে তখন ফের বেলাগাম অজিত মাইতি। কুড়মি সমাজের মানুষেরা পঞ্চায়েত নির্বাচনে কোনও রাজনৈতিক দলকে দেওয়াল লিখতে দেওয়া হবে না বলে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার বিরোধিতা করে প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে অজিত মাইতির হুঁশিয়ারি, আমরা হাতে চুড়ি পড়ে বসে নেই। দেওয়াল আমরা লিখবই। দাসপুরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর সফরের প্রস্তুতি সভা থেকেই হুঁশিয়ারি দেন অজিত মাইতি।
অবিলম্বে অজিত মাইতিকে ক্ষমা চাইতে হবে এমন দাবিতে সরব হয়েছে কুড়মি জনজাতির মানুষেরা। শুরু হয়েছে আন্দোলন। তার মাঝে যদিও তৃণমূল বিধায়ক অজিত মাইতি তাঁর মন্তব্য নিয়ে অবস্থান বদল করেননি। কুড়মি সম্প্রদায়ের ‘দেওয়াল লিখন’ বিরোধী আন্দোলনের প্রতিবাদে রবিবারও হুঁশিয়ারি দিতে দেখা যায় তাঁকে। রবিবার সন্ধ্যায় দাসপুরে একটি কর্মিসভা থেকে অজিত মাইতি বলেন, “হাতে চুড়ি পড়ে বসে নেই আমরা। দেওয়াল আমরা লিখবই।”
প্রসঙ্গত, দু’দিন আগেই একটি সভা থেকে তৃণমূল বিধায়ক অজিত মাইতিকে বলতে শোনা যায়, “কিছু কুড়মি নেতা স্বঘোষিত খালিস্তানি নেতাদের মতো কুড়মি ভাইবোনেদের ভুল বুঝিয়ে…. আমার ধারণা বিজেপি তাদের উস্কানি দিয়ে, সিপিএম তাদের উস্কানি দিয়ে দিল্লিতে কুড়মি ভাইদের আন্দোলন করতে দিচ্ছে না, যা করার এই বাংলাকে অশান্ত করার চক্রান্ত চলছে।” কুড়মি সম্প্রদায়ের একাংশকে ‘খলিস্তানি’ হিসাবে তুলনা করায় শুরু হয় বিতর্ক।