পুরসভার সূত্রে জানা গিয়েছে, মধ্যমগ্রাম পুরসভার অন্তর্গত ২৮টি ওয়ার্ডে পরিশ্রুত পানীয় জল সরবরাহের পানিহারা শোধনাগারের বৈদ্যুতিক মেরামতির কাজের জন্য সোমবার ও মঙ্গলবার পরিষেবা বিঘ্নিত হতে পারে। সামনেই আসছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকা। ঝড় বৃষ্টির আগেই যাতে বড় কোন বিপর্যয় না ঘটে পরিষেবার ক্ষেত্রে তাই বাড়তি নজরদারির জন্যই এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। মূলত বৈদ্যুতিক কাজের জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ফলে কিছুটা হলেও সমস্যায় পড়বেন বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষজন।
এদিন দুপুরের পর থেকে পানীয় জল পরিষেবা আর মিলবে না বলেই জানান পুর প্রধান নিমাই ঘোষ। বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে প্রতিটি ওয়ার্ডে পাঠানো হবে জলের ট্যাঙ্কার। নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজ থেকে পানীয় জল সংরক্ষণ করতে স্থানীয় এলাকাবাসীদের সেই ট্যাঙ্কার থেকেই জল নিয়ে কাজ চালাতে হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
পুরসভার তরফ থেকে বিভিন্ন মাধ্যমে ইতিমধ্যেই চলছে প্রচার। সোশ্যাল মিডিয়াতেও বিষয়টি জানিয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করা হয়েছে পুরসভার তরফে। গরমের কারণে ইতিমধ্যেই জলের স্তর নিম্নগামী। ফলে বাড়তি চাপ পড়ছে জল সরবরাহকারী যন্ত্রাংশে। আরও ভালো পরিষেবা দিতেই বছরে একবার এ ধরনের কাজ করা হয় বলেও জানিয়েছেন পুরসভার দায়িত্বে থাকা ইঞ্জিনিয়াররা। তবে কেন এই সময়কেই বেছে নেওয়া হল, তা নিয়ে অনেকেই তুলছেন প্রশ্ন। বিরোধীরাও বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে শাসক দলের উদ্দেশ্যে।
তবে মধ্যমগ্রাম পুরসভা কোনরকম ঝুঁকি নিতে চায় না মানুষের পরিষেবার ক্ষেত্রে। তাই সাময়িক সমস্যা তৈরি হলেও তা মোকাবিলা করে মানুষকে উন্নত পরিষেবা দিতে বদ্ধপরিকর বলেই পুরসভা তরফে জানানো হয়েছে। দুদিনে যাবতীয় কাজ শেষ করে পুনরায় আগের নিয়মেই পানীয় জল পরিষেবা মিলবে, মধ্যমগ্রামের ২৮ টি ওয়ার্ডেই বলে জানান পৌর প্রধান। তাই এদিন সকাল থেকেই এলাকাবাসীদের দেখা গেল নিত্য প্রয়োজনীয় পানীয় জল সংরক্ষণ করতে বাড়তি তৎপরতা।
